১০ম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর (১৫) সাথে প্রথমে প্রেম। এরপর তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি। সাথে বন্ধুকে দিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ। পরে ইন্টারনেটে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কয়েক দফা ধর্ষণ।
ঠিক এ রকম অভিযোগে ওই ছাত্রীর ভাই দুই যুবকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে দায়ের করা মামলা দুটির একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং অপরটি পর্নগ্রাফি আইনে।
রংপুরের কাউনিয়া থানায় মামলা দুটি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ হারাগাছের ভিতরকুটি (মাঠেরপাড়া) গ্রামের মানু মিয়ার ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২১) ও ধুমেরকুটি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে মো. মঞ্জুরুল ইসলামকে (২২) গ্রেফতার করেছে।
ওই দুজনেই রংপুরের কারমাইকেল কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রীকে রাসেল দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে প্রথমে সাড়া না দিলেও এক পর্যায়ে রাসেলের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
এই সুযোগে রাসেল মেয়েটিকে রংপুর শহরের এক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। আর আপত্তিকর অবস্থার ভিডিও ধারণ করে রাসেলের বন্ধু মঞ্জুরুল।
পরে রাসেল সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রীটিকে আরো কয়েকবার ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে ছাত্রীটি তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে তার পরিবার মামলা দায়ের করে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ওসি আব্দুর রশিদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই কলেজ ছাত্র ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ স্বীকার করেছে বলে জানান।
মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
এইচএ/রাতদিন