লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ভালোবেসে বিয়ে না করার অভিযোগে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হযেছে। আমিনুর (২৫) নামে প্রেমিকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়। অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
এ ঘটনায় গত বুধবার, ১৭ জুন ভুক্তভোগীর মা আবিয়া বেগম বাদি হয়ে আমিনুরকে প্রধান আসামী করে আরও ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মামলা দায়েরের ৬দিন পেরিয়ে গেলেও মামলাটি নথিভুক্ত করেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত আমিনুর রহমান উপজেলার বাড়াই পাড়া গ্রামের নেহাল উদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬ মাস আগে অভিযুক্ত আমিনুর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রতিবেশি হালিমা খাতুনের (১৯) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এরই মাঝে হালিমা আমিনুরকে বিয়ের করার জন্য চাপ দেয়। এ অবস্থায় গত ১৬ জুন হালিমাকে বিয়ে করার কথা বলে আমিনুর তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্ত আমিনুরের পরিবারের লোকজন এ বিয়েতে রাজী না থাকায় হালিমাকে বাড়ীতে ঢুকতে না দিয়ে মারধর করে।
খবর পেয়ে হালিমার পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে দেখতে পায় আমিনুরের পরিবারের লোকজন হালিমাকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে ফেলে রেখেছে। এ সময় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
নির্যাতনের শিকার হালিমা খাতুনের মা আবিয়া বেগম জানান, আমিনুরের বাড়ির লোকজন টাকার বিনিময়ে বিষয়টি আপোষ করার জন্য আমদের চাপ প্রয়োগ করে। আমরা তাতে রাজি হইনি। আমিনুর দীর্ঘ সময় ধরে আমার মেয়ের সাথে ভালোবাসা করে এখন বিয়ে করবে না কেন?
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আমিনুর রহমানের ফোন নম্বরে কল দিলে তার ছোট ভাই শাহিনুর ফোনটি রিসিভ করেন। এ সময় তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহিনুর জানান, ওনারা যে অভিযোগ তুলেছে সেটা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন। আমরা একটু ভালো ভাবে চলছি, খাচ্ছি, এটা তাদের সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা ষড়যন্ত্র করে আমাদের ক্ষতি করার জন্য হালিমাকে আমাদের বাড়িতে ঢোকানোর চেষ্টা করেন। আমার বড় ভাই আমিনুরের সাথে তার কোন সম্পর্ক ছিলো না।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।