লালমনিরহাটর হাতীবান্ধা উপজেলার ডেম্বুর বাড়ি সড়ক নির্মানের দুই সপ্তাহ পার হয়নি এখনো। তাতেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। পাকা রাস্তার কার্পেটিং উঠে, খানা-খন্দ হয়ে যেন আবার কাঁচা রাস্তায় পরিনত হয়েছে। খানা-খন্দ বন্ধ করতে রাতের আঁধারে যেনতেনভাবে কার্পেটিং করে এর উপর ছিটানো হচ্ছে বালু। নিম্নমানের এই কাজে এলাকাবাসী অসন্তুষ্ট থাকলেও, নতুন করে এভাবে ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টায় অসন্তুষ্টির মাত্রা চরমে পৌচেছে।
জানাগেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার সুচনা মিনেমা হল থেকে পশ্চিম পাশে ডেম্বুর বাড়ি সড়কের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন। এটি নির্মাণের দায়িত্ব পান সজীব নামে এক ঠিকাদার।
২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর ৬’শত ৭০মিটার সড়কটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হলেও ২ বছরে তা নির্মাণ করেন নি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলে অনেক দেরীতে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করেন তিনি।
কাজটি শুরু হলেও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাতের আঁধারে সড়ক নির্মানের অভিযোগ পাওয়া যায়। এর ফলে মাত্র দুই সাপ্তাহ না যেতেই রাস্তা থেকে উঠে যায় কার্পেটিং। এ অবস্থায় গত শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি বিকালে হঠাৎ করে ঠিকাদারের লোকজন গোটা সড়কে কেরোসিন তেল স্প্রে করে বালু ছিড়িয়ে সড়ক সংস্কার করেন।
রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন, হারুন নামের এমন একজন বলছিলেন, ‘কার্পেটিং’র পরের দিন থেকেই সড়কের পাথর উঠে যাচ্ছে। কয়েক দিন পর পর দেখা যায় ঠিকাদারের লোকজন এসে সড়ক ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করে দিচ্ছে। আজ দেখলাম কেরোসিন তেল স্প্রে করছে। দুই সপ্তাহের মাথায় রাস্তার এই অবস্থা হলে ভবিষ্যতে কী হবে?’
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী নজীর হোসেন ওই সড়কে নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ স্বীকার করে রাতদিননিউজকে বলেন, বিষটি ঠিকাদারকে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ঠিকাদার সড়কটি সংস্কার করে দিয়েছেন।
ঠিকাদার সজীবের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি রিসিভ করেন নি।
হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন জানান, ওই সড়কে নিম্মমানের কাজ হয়েছে- এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সতত্যা পাওয়া গেলে অব্যশই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এনএ/রাতদিন