হেলমেটে বাউন্সার লাগা লিটন-নাঈম ভালো আছেন

ইডেন টেস্টে প্রায় একই রকম চোট পেয়েছেন লিটন দাস ও নাঈম হাসান। দুজনেই একই ধরনে সেই ম্যাচ থেকেও ছিটকে গেছেন। দুজনেই চোট নিয়ে ফেরার পর আর খেলায় ফিরতে পারেননি। তারা দুজনেই এখনো (মঙ্গলবার, বিকেলে এই রিপোর্ট লেখার সময়) দেশে ফিরেননি।

অবশ্য এই দুই খেলোয়াড় এখনো দেশে না ফিরলে বিসিবির চিকিৎসক ড. দেবাশীষ চৌধুরী তাদের চোটের ধরন এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে পুরোদস্তুর খোঁজখবর রাখছেন।

ইডেন টেস্টের প্রথম ইনিংসেই এই দুজন চোট পান। সেদিনই সঙ্গে সঙ্গে তাদের কলকাতার স্থানীয় উডল্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হেলমেটে এই ধরনের চোট লাগলে সাধারণত বিলম্বে চেতনা হারানোর একটা উপসর্গ দেখা যায়। আর তাই সেই আশঙ্কা থেকেই তাদের দুজনকেই ইডেন টেস্টের বাকি সময় থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী তাদের জায়গায় নতুন দুজন খেলোয়াড়কে একাদশে জায়গা দেওয়া হয়।

এই দুজনের ইনজুরির সর্বশেষ সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিসিবির চিকিৎসক ড. দেবাশীষ চৌধুরী জানাচ্ছিলেন-‘মাথায় চোট পাওয়ার পর কলকাতায় ওদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে সেখানকার হাসপাতালে স্ক্যানও করানো হয় দুজনকে। স্ক্যানের রিপোর্টে কোনো ব্লিডিং বা খারাপ কিছু পাওয়া যায়নি। ধরে নিচ্ছি ওদের কনকাশনটা তেমন মারাত্মক কিছু নয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী প্রথম দুই দিন ওদের সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হয়েছে। আইসিসির কিছু গাইডলাইন আছে মাথায় চোট পাওয়ার বিষয়ে। আঘাত লাগার দুই দিন পর ওরা স্বাভাবিকরূপে শারীরিকভাবে কাজ শুরু করতে পেরেছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট দেখে বলতে পারছি যে ওরা আশঙ্কামুক্ত। পরবর্তীতে ওরা দেশে ফিরলে আমরা আবার ওদের রিভিউ করব। তবে সকলের সহযোগিতায় এতটুকু বলতে পারি যে ওরা শঙ্কামুক্ত আছে।’

ইনজুরিতে আছেন লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও। ভারতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দেশে ফেরা আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ইনজুরিতে পড়েন। আর সেই চোটেই এখন তাকে নেপালে এসএ গেমসও মিস করতে হচ্ছে। ড. দেবাশীষ জানান- ‘এসএ গেমসের জন্য দল শীঘ্রই যাচ্ছে। কিন্তু ইনজুরিতে থাকায় বিপ্লব এবং শফিকুলের এই গেমসে যাওয়া হচ্ছে না। ওদের চোট এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেনি।’

এনএ/রাতদিন