একটা ছেলে সন্তানের জন্য গোটা গ্রাম অপেক্ষা করছে প্রায় ১০ বছর ধরে। কারণ এত বছরে ওই গ্রামে একটা ছেলে শিশুও জন্মায়নি। যে কয়েকটি শিশু জন্ম নিয়েছে তাদের সবাই মেয়ে ।
ঘটনাটি পোল্যাণ্ডের মিজসেস ওড্রাজানস্কি নামের একটি ছোট্ট গ্রামে। এই গ্রামে বসবাস করেন ৩০০ বাসিন্দা। জানা গেছে, ২০১০ সালের পর এই গ্রামে কারও ছেলে সন্তান হয়নি।
এই গ্রামের বাসিন্দা টমাসজ গোলস্ জানান, একটি ছেলে শিশুর জন্য গ্রামবাসী অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছে। তিনি এই গ্রামেরই এক নারীকে বিয়ে করেছেন। তাদের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমিও চেয়েছিলাম আমার একটা ছেলে হোক। কিন্তু এই চাওয়াটা এখন অবাস্তব হয়ে যাচ্ছে। আমার প্রতিবেশীরাও একটি সন্তান হওয়ার পর ছেলে সন্তানের জন্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু সবারই দুটি করে মেয়ে আছে’।
ছেলে সন্তান জন্ম না নেওয়ায় গ্রামবাসীরা ভবিষ্যতের কৃষিকাজ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। মাঠের কাজে জনবলের সংকট দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ছেলের সন্তানের আকুলতা এতটাই প্রবল হয়েছে যে ওই দেশের মেয়র রাজমুন ফ্রিচকো জানিয়েছেনে, ও্ই গ্রামে বসবাসরত যে দম্পতির ছেলে সন্তান জন্ম নেবে তাদেরকে বিশেষ উপহার দেওয়া হবে।
ও্ই গ্রামে কেন এত বছর ধরে কোনও ছেলে শিশু জন্মায়নি তা নিয়ে গবেষণা চলছে।
বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ ওই গ্রামের দম্পতির উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।
গ্রামবাসীদের কেউ কেউ ছেলে সন্তানের আশায় পোল্যাণ্ডের প্রচলিত বিভিন্ন স্থানীয় পদ্ধতিও অনুসরণ করছেন।
মিজসেস ওড্রাজানস্কি গ্রামে ছেলে সন্তান না জন্মালেও পরিসংখ্যান বলছে, পোল্যাণ্ডে প্রতি বছর ছেলে শিশুর তুলনায় বেশি মেয়ে শিশু জন্মগ্রহণ করে। ২০১৭ সালে ওই দেশে জন্ম নেওয়া ছেলে শিশুর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭ হাজার। অন্যদিকে মেয়ে শিশুর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯৬ হাজার জন।
সূত্র : ডেইলি মেইল