নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১৮ঘন্টার ব্যবধানে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের আরো এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাঁর নাম মো. মঈনুল ইসলাম তুষার (৪০)। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের দক্ষিন এলাকা থেকে কালোবাজারির টিকিট বিক্রির সময় তাকে আটক করা হয়।
সোমবার, ১৯ আগস্ট বিকেলে তাকে হাতেনাতে আটক করে জিআরপি সদস্যরা।
জিআরপি সূত্রে জানা গেছে, শহরের নয়াটোলা এলাকার মৃত. এ. কে. এম. মঈদুল এর ছেলে মো. মঈনুল ইসলাম তুষার। গত সোমবার বিকেলে সে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের দক্ষিণ এলাকায় কালোবাজারির টিকিট বিক্রি করছিল।
এ সময় গোপন খবরের ভিত্তিতে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মমিনুর রহমানের নেতৃত্বে জিআরপি সদস্যরা মঈনুল ইসলাম তুষারের কাছ থেকে আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ১০টি আসনের ৪ টি টিকিট উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত এ সব টিকিটের যাত্রার তারিখ ছিল ১৯ আগস্ট।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের একটি সূত্র জানায়, আটক মঈনুল ইসলাম তুষার ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। সাম্প্রতিককালে সে দিনাজপুরের পাবর্তীপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের কালোবাজারির টিকিট বিক্রিকালে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট রাত ৯ টায় সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্লাটফর্মে আন্তঃনগর নীলসাগর ট্রেনের ১৫টি আসনের ৯ টি শোভন শ্রেণীর টিকিটসহ শ্রমিক মো. শামীমকে হাতেনাতে আটক করে জিআরপি সদস্যরা।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট আইনে তুষারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফিরেজুল ইসলাম জানান, আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।