২১ বছরে ১হাজার ২৩৯ মৃত্যু, ভারত কথা দিয়েছে সীমান্তে আর হত্যাকান্ড ঘটবে না

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত সরকার কথা দিয়েছে, সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটবে না। তারা এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে বলে আশা করি।

সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও কূটনৈতিক দক্ষতায় বহু বছরের পুরনো ছিটমহল বিনিময় এবং সীমান্ত সমস্যা আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে কোনো সমস্যার সমাধান তো করতে পারেইনি, বরং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার দেয়াল তুলেছে।

সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত সরকার কথা দিয়েছে সীমান্তে আর হত্যাকাণ্ড ঘটবে না।

ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করে বলেন, ভারত সরকার এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।

প্রসংগত, ২০০০ সাল থেকে সাম্প্রতিক সময়কালে সীমান্তে মোট ১হাজার ২৩৯টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা গেছে।

আসকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছর জানুয়ারিতে ১২, ফেব্রুয়ারিতে ৩, মার্চে শূন্য, এপ্রিলে ২, মে মাসে ১, জুনে ৭ ও জুলাই মাসে ৪ বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া আগস্টে ৫ ও সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ দিনে আরও ৩ জন বিএসএফের হাতে হত্যার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে আগস্ট পর্যন্ত হত্যার শিকার ৩৪ জনের মধ্যে ২৯ জন গুলিতে ও ৫ জন নির্যাতনে মারা গেছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দুদশকে সীমান্তে বিএসএফের হাতে ১ হাজার ১৮৫ বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে।

এর মধ্যে ২০০০ সালে ৩১, ২০০১ সালে ৮৪, ২০০২ সালে ৯৪, ২০০৩ সালে ২৭, ২০০৪ সালে ৭২, ২০০৫ সালে ৮৮, ২০০৬ সালে ১৫৫, ২০০৭ সালে ১১৮, ২০০৮ সালে ৬১, ২০০৯ সালে ৯৮, ২০১০ সালে ৭৪, ২০১১ সালে ৩১, ২০১২ সালে ৩৮, ২০১৩ সালে ২৯, ২০১৪ সালে ৩৫, ২০১৫ সালে ৪৪, ২০১৬ সালে ২৯, ২০১৭ সালে ২৫, ২০১৮ সালে ১১, ২০১৯ সালে ৪১ জন হত্যাকান্ডের শিকার হয়।

একই সময়ে ভারতীয় বাহিনীর হাতে ১ হাজার ১১৮ জন আহত, ১ হাজার ৪০১ জন অপহরণ ও ১১১ জন নিখোঁজ হয়।

এ ছাড়া আসকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত গত ৮ বছরে বিএসএফের গুলিতে ২৩৩ বাংলাদেশি মারা গেছে।

জেএম/রাতদিন

মন্তব্যসমূহ প্রদর্শন করা হবে (15)