রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘন্টায় ২৭ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রংপুর ও দিনাজপুরের দুই ল্যাবে মোট ২৩০ টি নমূনার ফলাফলে এই ২৭ জন করোনা পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। এর ফলে বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্য ৩৩৯ জনে দাড়ালো।
রোববার, ১০ মে রাতে রমেক অধ্যক্ষ নুরুন্নবী লাইজু ও দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আক্রান্তের মধ্যে রংপুর ল্যাবে ৬ জন ও দিনাজপুর ল্যাবে ২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
রমেক অধ্যক্ষ নুরুন্নবী লাইজু জানান, রমেকের করোনা ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায় ১৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে নতুন করে ৬ জন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে, মেট্রোপলিটন পুলিশের ২ সদস্য, পীরগাছা ১ জন, বদরগঞ্জে ০১ জন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার আদর্শপাড়া, সেনপাড়া ও হারাগাছে একজন করে মোট তিনজন এবং পীরগাছায় ১ জন।
অন্যদিকে দিনাজপুর জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আরো ৯ জন করোনা রোগি শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দিনাজপুর জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫০ জনে।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস এদিন রাত সাড়ে ৯টায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আরো ৯ জন করোনায় আক্রান্তের খবরটি নিশ্চিত করেন।
এর মধ্য দিয়ে দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১২টি উপজেলায় করোনা রোগি শনাক্ত হলো। এখন শুধুমাত্র খানসামা উপজেলা এখনো করোনামুক্ত আছে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ জন, বীরগঞ্জে ৪ জন ও বোচাগঞ্জে দুইজন। এছাড়া ৬ জন সুস্থ, মৃত্যু হয়েছে একজনের ও হোম আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৪০ জনকে।
তিনি জানান, রবিবার দিনাজপুরের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে ৯৪টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৯ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ, একটি ফলোআপ নমুনার ফলাফল পজিটিভ ও ৮৪টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। এ নিয়ে দিনাজপুর জেলায় কোভিড-১৯ রোগির সংখ্যা ৫০ জনে দাড়ালো। আক্রান্ত ৫০ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৭ জন, নারী ১০ জন ও শিশু ৩ জন।
অন্যদিকে এদিন নীলফামারীতে নতুন করে ১২ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক নারী চিকিৎসক ও একই পরিবারের ছয়জন রয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, আজ রবিবার নতুন করে এক নারী চিকিৎসকসহ ১২ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদরে ৭ জন, ডোমারে ২ জন, সৈয়দপুর এক শিশু (৫ মাস) ও তার মাসহ দুজন ও ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসক রয়েছেন।
জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন।
জেএম/রাতদিন