দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় কারাবাসের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি যাচ্ছেন গুলশানের নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’য়। তাকে বরণ করে নিতে বাসভবন প্রস্তুত রয়েছে।
বুধবার, ২৫ মার্চ বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান বেগম জিয়া।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে গুলশান অফিসে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে জরুরি ব্রিফিংকালে মুক্তির কথা জানান।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা, ও উপধারা -১ অনুযায়ী এটা আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি পেলেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে বাসায় নিতে হাসপাতালে আসেন পরিবারের সদস্য, নেতাকর্মী, আইনজীবীরা। সঙ্গে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও।
এদিকে, গতকাল মুক্তির সিদ্ধান্তের খবর জানার পরই খালেদা জিয়ার বাসভবন গোছগাছ শুরু হয়। বাড়ানো হয় ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সদস্য সংখ্যাও।
বিদেশে চিকিৎসার জন্য এর আগে মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিল খালেদার পরিবার।
গত ১১ মাস ধরে বেগম জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এর আগে, ২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলার রায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে দশ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এনএ/রাতদিন