৩১ আগস্ট ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সারা দেশে পেট্রলপাম্প বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে মালিকদের সংগঠন। সাত দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে তারা এই ঘোষণা কার্যকর করবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার, ২৫ আগষ্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন সমিতির সভাপতি ।
জ্বালানি তেল বিক্রির উপর ৭ শতাংশ কমিশন দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে তা পূরণের জন্য সরকারকে সাত দিন সময় দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী ৩১ আগস্ট ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশে পেট্রলপাম্প বন্ধ রেখে ‘প্রতীকী কর্মবিরতির’ ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যের ওপর শতকরা হারে কমিশন নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল জ্বালানি মন্ত্রণালয়, বিপিসি ও পেট্রলপাম্প সমিতির বৈঠকে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি।
নাজমুল হক বলেন, তারা চাইলে দেশে অচলাবস্থা তৈরি করতে পারেন, কিন্তু তারা তা করেননি। এখন তারা ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি দিচ্ছেন। কারণ তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
নাজমুল হক আরও বলেন, ২০১৩ সালে অকটেন ও পেট্রল বিক্রি করে তারা ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমিশন পেতেন। আর ডিজেল থেকে পেতেন ৩ দশমিক ২২ শতাংশ কমিশন। এখন এ কমিশন প্রায় ১ শতাংশ করে কমেছে। কমিশনের হার ৭ শতাংশ করার দাবি জানান তিনি।
জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে তেলের কারচুপি রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা; অভিযানের সময় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বা বিপণন কোম্পানির প্রতিনিধি রাখা; সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ইজারা মাসুল যৌক্তিক হারে নির্ধারণ করা; রাস্তায় জ্বালানি পরিবহণের সময় ট্যাংক-লরির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে তেলের মাপে কারচুপি নিয়েও কথা বলেন নাজমুল হক। তিনি বলেন, তারা তেল পরিমাপে কারচুপি রোধ অভিযানের বিরোধী নন। এ ব্যাপারে তারা সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।