ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ৬০ বছরের ফকির নামের এক ব্যক্তি ১২ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ে করেছেন। বাল্যবিবাহের এই অপরাধে ওই ব্যক্তিসহ বিয়ের সহযোগী হওয়ায় বিভিন্ন মেয়াদে কিশোরীর মা, নানা ও নানিকে বিভিন্ন মেয়াদে জেলজরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত ।
শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পূরবী গোলদার ওই দণ্ড দেন। দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ ফকির এবং সদরপুর সদরের খবির তালুকদার, হালিমুন নেছা ও ফাতেমা বেগম।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। গত ২০ অক্টোবর গোপনে মোহাম্মদ ফকিরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়েটি নিবন্ধন না করে তাঁরা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।
বাল্যবিবাহের এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাধা দেন। তবে মেয়েটির মা ফাতেমা এবং নানা খবির ও নানি হালিমুনের সহায়তায় এ বিয়ে হয়। শুক্রবার রাতে নতুন জামাতা হিসেবে মোহাম্মদ ফকির কিশোরীর বাড়িতে যান। তখন মেয়েটির অন্য স্বজন ও প্রতিবেশী তাঁকে আটক করে ইউএনওর কাছে খবর দেন।
রাত সাড়ে আটটার দিকে ইউএনও সেখানে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। আদালত মোহাম্মদ ফকিরকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাঁকে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ফাতেমাকে ৬ মাস এবং খবির ও হালিমুনকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ইউএনও পূরবী গোলদার গনমাধ্যমকে বলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭-এর বিভিন্ন ধারায় এই শাস্তি দেওয়া হয়। দণ্ডিত ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরআই/রাতদিন