দিনাজপুরের বিরল ও বোচাগঞ্জে বজ্রপাতে এক নারীসহ ৩ জন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার, ২৫ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বিরল উপজেলার হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের প্রয়াত কংশ চন্দ্র শীলের ছেলে সুমন্ত চন্দ্র শীল (৪৫) ও নছু গ্রামের জীবিত চন্দ্র রায়ের ছেলে শার্নিক চন্দ্র রায় (৪০) এবং বোচাগঞ্জ উপজেলার গোধাপুকুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মাহামুদা বেগম (৪০)। এ সময় রঞ্জিত নামে এক ব্যক্তি ঝলসে গেছে।
মঙ্গলপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেরাজুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ৮টায় বৃষ্টির সময় লক্ষ্মি মন্দিরের বারান্দায় আশ্রয় নেয় সুমন্ত চন্দ্র শীল, শার্নিক চন্দ্র রায় ও রঞ্জিত। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে তারা তিনজনই ঝলসে যায়। ঘটনাস্থলে সুমন্ত চন্দ্র শীল, শার্নিক চন্দ্র রায় মারা যায়।
পরে আহত রঞ্জিতকে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে বোচাগঞ্জ উপজেলার গোধাপুকুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪০) বাড়ির সামনে দোকানে ভাজা-পোড়া বিক্রি করছিল। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
হাতীবান্ধায় আহত ৮ :
মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা, গড্ডিমারী ও সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বজ্রপাতে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয় জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, উপজেলার মিলন বাজার এলাকার রোহেল উদ্দিনের স্ত্রী সেলিনা খাতুন (২৪), মধ্য গড্ডিমারী এলাকার আবু তালেবের স্ত্রী রানু বেগম (২০), সিঙ্গিমারীর দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী খোতেজা বেগম (৬০), আব্দুল লতিফের স্ত্রী নুর নাহার বেগম (৩৩) এবং বড়খাতা ইউনিয়নের পুর্ব সারোডুবি এলাকার আমিনুর রহমানের কলেজ পড়ুয়া ছেলে মিরাজুল ইসলাম পরাগ হোসেন (১৭)।
এছাড়া পশ্চিম সারোডুবি এলাকার শামসুল হকের ছেলে সেলিম হোসেন (১৭), মধ্য গড্ডিমারী এলাকার আমের আলীর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আলেমা খাতুন (১৮) ও টংভাঙ্গা এলাকার মঞ্জু মিয়ার ছেলে মিরাজ (১৬) আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে আলেমা খাতুনও মিরাজ (১৬) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
এইচএ/রাতদিন