জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই দুপুর দুইটা ২৮ মিনিটে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠি হয়।
জানাজায় ইমামতি করেন রংপুর করিমিয়া নুরুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ইদ্রিস আলী।
জানাজা শেষে এরশাদের মরদেহবাহী গাড়িটি পুলিশ ও র্যাবের বেস্টনির মধ্য দিয়ে ঈদগাহ মাঠ থেকে বের করা হয়। এরপর তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় এরশাদের স্বপ্নের পল্লীনিবাসে।
জানাজা শুরুর আগে থেকেই হাজার হাজার নেতাকর্মী তাদের প্রিয় নেতার মরদেহ রংপুরেই দাফনের দাবি জানিয়ে চিৎকার করছিলেন।
জানাজায় অংশ নেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, এরশাদ পুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু হোসেন বাবলা, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, আজম খান, তাজ রহমান ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর মহানগরের সভাপতি ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সরকারসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের নেতারা।
এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর সেনানিবাসের হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করেছে বেলা পৌনে ১২টার দিকে।
সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে। সেখানে জানাযার নামাজের আগে বক্তব্য রাখেন এরশাদের ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এরশাদের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
এদিকে প্রয়াত এই রাষ্ট্রপতিকে শেষ বারের মতো দেখতে ও তাঁর জানাযায় অংশ নিতে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জাতীয় পার্টির হাজার হাজার নেতাকর্মী রংপুর নগরীতে এসেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাধারণ মানুষসহ অগনিত মানুষের সমাগম হয় রংপুর নগরীতে। কালেক্টরেট মাঠে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অনেকে জানাযার নামাজ আদায় করেন পাশের ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও পুলিশ লাইনস মাঠে।