নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক কলেজ ছাত্রের গাছে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রাকিবুল ইসলাম রকি (১৯) নামের ওই কিশোর গ্রামের বাড়ী যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়োয়।
সোমবার, ১২ আগষ্ট সকালে উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের সিপাইগঞ্জ বাজারের দক্ষিণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ নালার পাড়ের একটি আকাশমনি গাছ থেকে ওই লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের সিপাইগঞ্জবাজার সংলগ্ন ওই এলাকার একটি গাছে এক কিশোরের লাশ ঝুলতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে ঘটনাটি সৈয়দপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়। সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বাপ্পী ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
খবর পেয়ে নিহতের বড় ভাই কামারুল ইসলাম রাশেদ সৈয়দপুর থানায় গিয়ে লাশটি তাঁর ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম রকির বলে সনাক্ত করেন।
নিহত রাকিবুল ইসলাম রকি সৈয়দপুর সানফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাশ করেছে। তাদের গ্রামের বাড়ি নীলফামারী সদরের চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের বড়ুয়া পাটোয়ারীপাড়ায়। তাঁর বাবা নাম মো. আফজাল হোসেন। সে পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজপাড়ায় থাকতো। ছয় ভাইয়ের মধ্যে সকলের ছোট ছিল রকি।
নিহত রকির বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কামারুল ইসলাম রাশেদ জানান, ঘটনার দিন তাঁর ভাই গ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে রাতে তাঁর মুঠোফোন থেকে কল করে বলা হয় আপনার ভাই সমস্যায় পড়েছে। আপনারা দ্রুত আসেন।এর পর থেকে আর ওই নম্বরটি বন্ধ হয়ে যায়।
ভাইয়ের এ ধরনের করুণ মৃত্যুর কোন কারণও তারা খুঁজে পাচ্ছেন না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তাঁর ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম রকিকে হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য গাছে লাশ ঝুলে রাখা হয়েছে দাবী করেন তিনি। তবে তাঁর ভাইয়ের হত্যাকান্ডটি প্রেমঘটিত হতে পারে অনুমান তার।
সৈয়দপুর থানার ডিউটি অফিসার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নিমাই চন্দ্র রায় জানান, এঘটনায় থানায় একটি অপমুত্যৃ মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জেএম/রাতদিন