লালমনি এক্সপ্রেসে জন্ম নেয়া সেই শিশু ‘লালমনি’র বাড়ীতে জেলা প্রশাসন

লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে জন্ম নেয়া শিশু ইব্রাহিম হোসেন ‘লালমনি’র বাড়ীতে গেছেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এসময় শিশু লালমনির পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ অর্থসহ উপহারসামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

সোমবার, ২ ডিসেম্বর দুপুরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম,কালীগঞ্জের ইউএনও মো.রবিউল হাসান, এনডিসি শহীদুল ইসলাম সোহাগ লালমনির বাড়িতে যান।

এ সময় সংশ্লিষ্ট চলবলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু সাথে ছিলেন। কর্মকর্তাগন শিশু লালমনি ও তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন।

এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে ২০ কেজি চাল, ২ কেজি চিনি, ২ লিটার তেল, ২ কেজি ডাল, ৪ কেজি চিড়া, ১ কেজি নুডুলস ২ কেজি লবণ, ৩ সেট শিশু পোষাক, ২ টি কম্বল, ১ টি চাঁদর ও নগদ ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২৫ নভেম্বর রাতদিন ডট নিউজ অললাইনে চলন্ত ‘লালমনি এক্সপ্রেসে’ সন্তান জন্ম দিলেন কালীগঞ্জের নবীয়া শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে তা ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তা প্রচার পায়। এতে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি কাঁড়ে।

শিশু ‘লালমনি’র বাড়ীতে জেলা প্রশাসন

প্রসঙ্গত রোববার, ২৪ নভেম্বর রাতে রাজধানী ঢাকা হতে উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাটগামী আন্ত:নগর লালমনি এক্সপ্রেসে রুবিয়া ও তাঁর স্বামী ছকমল হোসেন বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পর প্রসব বেদনা উঠলে গভীর রাতে আশেপাশে ট্রেন থামার মতো কোনো রেলস্টেশন না থাকায় অন্য নারী যাত্রীর সহায়তায় ট্রেনেই সন্তানের জন্ম দেন রুবিয়া।

পরে সকালের দিকে বগুড়া স্টেশনে পৌঁছলে চিকিৎসা সহায়তা মিলে নবজাতক ও প্রসূতির। সরকারী সহযোগিতায় ভর্তির ব্যবস্থা হয় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

২৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সরকারী ব্যবস্থাপনায় বাড়ীতে ফিরেন তারা। প্রসূতি রুবিয়ার স্বামী ছকমল হোসেন রাজধানীতে রাজমিস্ত্রির সহকারীর কাজ করতেন। অপরদিকে পোশাকশ্রমিকের কাজ করা রুবিয়া সন্তান পেটে আসার পর আর কাজে যাননি। যাননি চিকিৎসকের কাছেও। তাই কবে সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে সেটাও অজানা ছিল ওই দম্পতির। এ নিয়ে ৪ পুত্র সন্তানের জনক জননী হলেন তাঁরা।

ভবিষ্যতে শিশু ’লালমনি’কে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে রেলের চাকুরীতে যোগদান করানোর আশা জানিয়ে ‘লালমনি’র জন্য সবার দোয়াও চান ওই দম্পতি ।

এনএ/রাতদিন