একপাশে লালমনিরহাটের বুড়িমারী, অন্যপাশে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা। মাঝখানে বয়ে গেছে ধরলা নদী। নদীর অর্ধেক অংশ বাংলাদেশে পড়েছে। এই নদী ঘেঁষেই ওপারে দেশটির মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংরাবান্ধা বাজার এলাকার একমাত্র শ্মশানঘাট। আর নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় পানির জন্য বাংলাদেশে আসতে হয় ওই শ্বশানে কারো মরদেহ দাহ করতে আসা স্বজনদের ।
জানা গেছে, সীমান্তের ওই অংশে নেই কাঁটাতারের বেড়া। ফলে ওই শ্বশানে কারো মৃতদেহ দাহ করতে এসে প্রয়োজনীয় পানি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ অংশ থেকে। বিজিবি-বিএসএফকে ফাঁকি দিয়েই সেই পানি নিয়ে যাওয়া হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম উত্তরবঙ্গ সংবাদের এক খবরে বলা হয়, আজ রোববার ওই শ্মশান পরিদর্শনে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুনির্মল গুহ। অবিলম্বে শ্মশানঘাট সংস্কারের দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
সুনির্মল গুহ বলেন, ‘এখানে বিদ্যুৎ, জল ইত্যাদি কিছুই নেই। জলের জন্য বাংলাদেশ সীমান্তে যেতে হয় শ্মশানযাত্রীদের।’
এ বিষয়ে চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র অধিকারী বলেন, চ্যাংরাবান্ধার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার মধ্যে এই শ্মশানঘাটও রয়েছে। এলাকার মানুষের দাবির বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’
প্রায় একই কথা বলেছেন, মেখলিগঞ্জের বিডিও সাঙ্গে ইউডেন ভুটিয়াও।
এইচএ/রাতদিন