‘দেবী’ প্রদর্শনী বন্ধের দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। এতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ৫ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, সরকারের অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্রটিতে বিনা প্রয়োজনে বহুবার ধূমপানের দৃশ্য এবং সরাসরি একটি বহুজাতিক কোম্পানির সিগারেট ব্যবহার করতে দেখানো হয়েছে। এভাবে তামাক কোম্পানির বিজ্ঞাপন পরিষ্কারভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে। তাই টিভি চ্যানেল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘দেবী’র প্রদর্শনী বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
এতে আরও বলা হয়, চলচ্চিত্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের লঙ্ঘন পর্যালোচনা ও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গত ১৩ জানুয়ারি তথ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে তামাক বিরোধী সংগঠগুলো লিগাল নোটিশ প্রদান করে।
চলচ্চিত্রটিতে ১২ বার ধূমপানের দৃশ্য দেখানো এবং সতর্কবাণী প্রচারের কথা উঠে আসে। তবে সতর্কবাণীগুলো আইন অনুসারে, পর্দার মাঝখানে পাঁচ ভাগের এক ভাগ জুড়ে কালো জমিনের ওপর সাদা অক্ষরে প্রদর্শন করা হয়নি বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বিধিমালা ৫(ক)-এ বলা হয়, ‘তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য প্রদর্শনকালে পর্দার মাঝখানে পর্দার আকারের অন্তত এক-পঞ্চমাংশ স্থান জুড়িয়া কালো জমিনের ওপর সাদা অক্ষরে বাংলা ভাষায় ‘ধূমপান/তামাক সেবন মৃত্যু ঘটায়’ শীর্ষক সতর্কবাণী প্রদর্শন করিতে হইবে এবং উক্তরূপ দৃশ্য যতক্ষণ চলিবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সতর্কবাণী প্রদর্শন অব্যাহত রাখিতে হইবে।’ সিনেমা প্রদর্শনকালেও বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণের নির্দেশনা রয়েছে।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ‘দেবী’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সময় এই বিধিমালা পালন করা না হলেও কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি তথ্য মন্ত্রণালয়। যাকে হতাশাজনক বলছে তামাক বিরোধীরা।
এমন পরিস্থিতিতে, আইন না মেনে এবং বহুজাতিক কোম্পানির সিগারেট ব্যবহারের দৃশ্যটি কর্তন না করে টেলিভিশন ও অনলাইনে ‘দেবী’ প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো। সূত্র : বাংলারিপোর্ট
এমএইচ/০৬.০২.১৯