শেষ হলো অপেক্ষা। টানা ১৪ দিনের কোয়েরেন্টাইন শেষে পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পা দিয়েই হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। নিউইয়র্কের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। সেই হোটেলে নির্জনে সময় কে’টেছে দুই সপ্তাহ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সাকিবের পরিবার। পরিবারের কাছে ফিরে গেলেও সামনের কয়েক সপ্তাহ গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হবে তাকে।
করোনাভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের জন্যই সেলফ কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা, যাকে অনেকে সেলফ আইসোলেশনও বলে থাকেন। মারাত্মক ছোঁয়াচে এই ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশের পর লক্ষণ প্রকাশ পেতে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আর তাই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বা সন্দেহ থাকলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ দেন চিকিৎসক ও গবেষকরা।
উইসকনসিনের ওই হোটেল থেকে খুব বেশি দূরে নয় সাকিবের বাড়ি। মাত্র কয়েক মিনিটের দূরত্ব গত ১৪ দিনে পেরোতে পারেননি সাকিব। যেতে পারেননি স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির ও মেয়ে আলাইনার কাছে। স্ত্রী-সন্তান ও পরিজন এত কাছ থাকলেও তাদের সঙ্গে থাকার সুযোগ হয়নি ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ থাকা এই অলরাউন্ডারের।
১৪ দিন আইসোলেটেড থাকা অবস্থায় নিজের নামের ফাউন্ডেশনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নিজের গড়ে তোলা ‘দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন’ দিয়ে দেশে-বিদেশ হতে ফান্ড সংগ্রহ করবেন তিনি। সে ফান্ড তুলে দিচ্ছেন ‘মিশন সেইভ বাংলাদেশ’ নামক একটি উদ্যোগে।
পাশাপাশি ‘দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন’ ও কনফিডেন্স গ্রুপ মিলে চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় কিট সরবরাহের জন্য ২০ লাখ টাকার তহবিল গঠন করেছে। নিধেষাজ্ঞায় থাকা সাকিবের জাতীয় দল কিংবা স্থানীয় কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে করোনা যুদ্ধে যুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে নিজ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কিছুদিন আগে ৩৩ এ পা রেখেছেন সাকিব। নিষেধাজ্ঞায় এ থাকা ক্রিকেটার মাঠে ফিরতে পারবেন আগামী ২৯ অক্টোবর।
এনএ/রাতদিন