দিনাজপুর থেকে তিন-চারটি পথ দিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে বিরল স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথ নির্মাণের একটি ভালো প্রকল্প নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
মন্ত্রী বলেন, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন হলে ভারতের শিলিগুড়ি, দার্জিলিং এবং নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। সেই সঙ্গে বাড়বে বাণিজ্য।
তিনি বলেন, দিনাজপুর থেকে তিন-চারটি পথ দিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হবে। এমন প্রস্তাবনা আমরা তৈরি করেছি। রেলওয়ে লালমনিরহাট ডিভিশন থেকে মন্ত্রণালয়ে এমন প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে বিরল স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথ নির্মাণের একটি ভালো প্রকল্প নেয়া হবে। যাতে করে মানুষ ভবিষ্যতে মনে রাখবে।
আজ সোমবার, ৬ জুলাই দুপুরে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পাকুড়া রেলবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাই পরিদর্শন শেষে এক সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বিরল রেলবন্দরকে দেশের এক নম্বর রেলবন্দর হিসেবে রূপান্তরের জন্য সরকার কাজ করছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিরল পৌরসভার মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী দিনাজপুরে এসে বলে ছিলেন বিরলে স্থলবন্দর হবে। এটি হবেই, কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার রেললাইনের কাজ হয়েছে, মাত্র ২০০ কোটি টাকার স্লাইড করতে পারব না? ভবিষ্যতে এ বন্দর দিয়ে নেপালেও পণ্য পরিবহন হবে।
এবি/রাতদিন