বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের নিয়ে কটুক্তিকারী কর্মচারি খোরশেদ আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় কটুক্তিকারী ওই কর্মচারীর স্থায়ী বরখাস্তের দাবি করা হয়।
বুধবার, ২৯ জুলাই দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট সংলগ্ন পার্কের মোড়ে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার্থীরা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়োগ দেয়া হয়। সেখানে একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী, যিনি এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আসেননি তিনি শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের নিয়ে কটুক্তি করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন।
এর আগে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ওই কর্মচারী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের হকার, পতিতা, কীট, কুলাঙ্গার বলে কটূক্তি করে পোস্ট দেয়।
খোরশেদ আলম অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, আমি যা কিছু করেছি (ফেসবুক স্ট্যাটাসে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের আপত্তিকর মন্তব্য) অফিসিয়াল প্রসিডিউর মেইনটেইন করেই করেছি।
প্রসঙ্গত, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গুটিকয়েক শিক্ষকদের সংগঠন ‘নব প্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ’র অনৈতিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি এবং খোরশেদ আলমের এমন কটুক্তির প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে সমালোচনার ঝড়। বেরোবি ক্যাম্পাসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এর তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা ও বিচার দাবি করেছেন।
দাবী না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা।
জেএম/রাতদিন