বাংলাদেশের কয়েকজন নাবিক ১০ মাস ধরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হাতে বন্দি। গত ফেব্রুয়ারিতে ওমান থেকে সৌদ আরব যাওয়ার পথে ৩টি জাহাজের ২০ জন নাবিক ইয়েমেনের উপকূলে থামলে হুতি বিদ্রোহীরা তাঁদের বন্দি করেন। তাদের সাথে মিশর ও ভারতের কয়েকজন নাবিকও আছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আজ রোববার, ২৯ নভেম্বর এ খবর জানায়। তবে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা গনমাধ্যমকে জানান, ইয়েমেনে বাংলাদেশের নাবিক আটকে পড়ার বিষয়ে তাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই।
খবরে বলা হয়েছে, হুতি বিদ্রোহীদের কাছে বন্দি থাকা ২০ জন নাবিকের মধ্যে ১৩ জন ভারতের। আর বাকি সাতজন বাংলাদেশ ও মিসরের নাগরিক।
বন্দি নাবিকদের মধ্যে একজন হলেন ভারতের কেরালার বাসিন্দা প্রবিন থাম্মাকারানতাবিদা (৪৫)। তিনিই হোয়াটসঅ্যাপে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, নির্মাণকাজের জন্য তাঁরা ওমান থেকে সৌদি আরবে যাচ্ছিলেন। যাত্রাপথে তারা লোহিত সাগরে একটি জাহাজডুবির খবর পান। ডুবে যাওয়া জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারের পর তিনটি জাহাজ ইয়েমেনের উপকূলে নোঙর করে। পরে ইয়েমেন কোস্টগার্ড সদস্যের পরিচয় দিয়ে একদল লোক ২০ নাবিককে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় নিয়ে যায়। পরে কোস্টগার্ডের পরিচয় দেওয়া লোকজন জানান, তাঁরা হুতি বিদ্রোহী। ইয়েমেনের জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশের অপরাধে ২০ নাবিককে আটকের কথা জানায় তারা।
বন্দি নাবিকদের বরাতে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, শুরুতে তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ওই তিন জাহাজের মালিকের কাছে দুই লাখ ওমানি রিয়াল দাবি করেছে। কিন্তু সে দাবি পূরণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মালিকেরা।
আরআই/রাতদিন