কালীগঞ্জে একুশ মসজিদের পানি সংগ্রহে খোয়া গেল অটোবাইক

অটোবাইক চালক রাশেদ মিয়া (১৫) পিতা আমির আলী । তার বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার উপজেলার দালান পাড়া এলাকায়। গত (২ জানুয়ারি) শনিবার। দুলাভাই অসুস্থ থাকায় অটোবাইক নিয়ে আসেন বড়খাতা বাজারে।  

সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি ৩শ’ টাকা ভাড়ায় নিয়ে আসেন কালীগঞ্জের ভুল্লারহাটে। সেখানে এসে যান নাউ কবিরাজ ওরফে নুরুজ্জামান কবিরাজের বাড়ি। কবিরাজের বাড়িতে ঘন্টাখানেক অবস্থানের পর দুই ব্যক্তি এসে রাশেদকে বলে, ‘তোমাকে ভাড়া আরও বেশী দেবো, ২১টি মসজিদের নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করতে হবে।’

একে একে ১৭/১৮ টি মসজিদের নলকূপের পানি সংগ্রহ হয়ে গেল। ইতোমধ্যে তারা হাজির হলেন কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার কেন্দ্রীয় (কোর্ট) মসজিদ এলাকায়। সেখানে খেলার মাঠে ইজি-বাইক রেখে রাশেদ পানি আনতে যান। সরল মনে অটোচালক পানি নিয়ে ফিরে এসে দেখে তার অটোরিক্সাটি আর নেই।

পরে ওদিক খোঁজাখুজি করেও না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাশেদ। স্থানীয়দের সহযোগিতায় কবিরাজের নাম্বার সংগ্রহ করে ফোন দেন রাশেদ ও শরিফুল নামে এক অটো চালক। কবিরাজের ফোনে জানতে চায় শরিফুল।  ‘ওই দুই ব্যাক্তিকে চেনেন কিনা এমন প্রশ্নে- কবিরাজ বলেন, দুইজনকে চিনি।  একথা শুনে দ্রæত তার বাড়িতে গিয়ে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের কথা বলতেই কথা পাল্টে ফেলেন কবিরাজ। রেগে গিয়ে না চেনার কথা বলে অটোরিক্সার কয়েকজন চালকসহ রাশেদকে তাড়িয়ে দেন।
এদিকে উপায় না পেয়ে কালীগঞ্জ থানায় বাধ্য হয়ে কবিরাজ নুরুজ্জামান ওরফে নাউ কবিরাজসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এই অটো রিক্সা ছিনতাইয়ের পিছনে নুরুজ্জামান ওরফে নাউ কবিরাজ জড়িত দাবী করে অটোবাইক চালক রাশেদ মিয়া বলেন, তাকে আটক করে জিজ্ঞাসা করলেই সব বেরিয়ে আসবে। পুলিশ প্রসাশনকে অসহয় পরিবারটির পাশে দাড়ানোর অনুরোধ করেন অটো চালক রাশেদ।  

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত(ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাত ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে জানান, অটোচালক রাশেদ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেটি আমলে নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে আসল রহস্য কি।