হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের উসকানি দিয়ে মাঠে নামাতেন। তার উদ্দেশ্য ছিল ‘সরকার উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল’ করা।
আজ মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ- কমিশনার মো. হারুন অর রশিদ এসব জানান। রিমান্ডে থাকা মামুনুল হক পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিজেই এসব বলেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, হেফাজতের নেতাকর্মীদের উসকানি দিতেন মামুনুল। তিনি বলতেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে হেফাজতের সমর্থন ছাড়া কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।
মামুনুল জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বলেও দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তা হারুন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গত রোববার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপপুলিশ কমিশনার হারুন বলেন, মোহাম্মদপুর থানার মামলার বাদির অভিযোগ ধরে এবং সেদিনের হামলার ভিডিও দেখিয়ে মামুনুলকে প্রশ্ন করা হয়- মসজিদের সাদপন্থী লোকদের মারপিট করা হল কেন? তিনি বলেছেন, এটি ঠিক হয়নি।
তিনি বলেন, মামুনুল ও তার অনুসারীরা মূলত তাবলীগের অন্য গ্রুপ জুবায়ের পন্থি। তাই মামুনুল ভেবেছিলেন সাদপন্থিদের পিটিয়ে মসজিদ থেকে বের করে দিলে তারা দুর্বল হয়ে যাবেন।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মামুনলকে তার কয়েকটি ওয়াজের ভিডিও দেখানো হয়, যেখানে তিনি সাধারণ ধর্মভীরু মানুষকে উসকানি দিয়েছেন। শাহরিয়ার কবিরকে মুরগি চোর বলা, হাসানুল হক ইনু ও সাবেক বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিককে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই জুতা পেটা করার কথা বলে লোকজনকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছেন। এসব বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মামুনুল বলেন, ‘জোসের কারণে এসব মন্তব্য করে ফেলেছি’।
মামুনুল হকের পেছনে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের মদদ আছে কিনা সেটিও ধারাবাহিকভাবে জিজ্ঞেস করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এইচএ/রাতদিন