আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছানো ও বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দিতে মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সদস্যরা কাজ শুরু করবেন।
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে তৃণমূল পর্যন্ত ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যা ও অপ্রচারের জবাব দেবেন তারা।
মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সভায় এমন নির্দেশনা দিয়েছেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় দলের সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যেসব মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন এখনো বাকি আছে সেগুলো দ্রুত সম্মেলনের মাধ্যমে ঢেলে সাজানোর নির্দেশনা দেন। ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে করোনার বিধিনিষেধ রয়েছে। এই সময়ের পরে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আট বিভাগের জন্য গঠিত আট সাংগঠনিক টিমের সদস্যরা তাদের কাজ শুরু করবেন।
সভায় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক বিভাগে যাওয়ার পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সংগঠনকে তৃণমূল পর্যন্ত সম্মেলনের মাধ্যমে ঢেলে সাজাতে হবে। এর মধ্য দিয়ে দলের ভেতরে যেসব আগাছা আছে, তা উপড়ে ফেলতে হবে। নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকলে তা দূর করে তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যা ও অপ্রচারের জবাব দিতে হবে। মানুষের কাছে গিয়ে সত্যটা তুলে ধরতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিকাল সাড়ে চারটায় বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্যাহ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ড. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।