বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারি সৌদি আরবের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় জড়িত সন্দেহে ১১ জনের বিচার শুরু হয়েছে।
রাজধানী রিয়াদে প্রথম শুনানিতে ১১ জনের মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসির আবেদন জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তার দাবি, এরা প্রত্যক্ষভাবে হত্যাকান্ডটির সাথে যুক্ত ছিল। বাকি ছয়জন এ কাজে সহায়তা করেছে। সন্দেহভাজনরা তাঁদের আইনজীবীদের নিয়ে শুনানিতে হাজির হন।
খবরে বলা হয়, সাংবাদিক খাশোগি হত্যার ঘটনায় তুরস্কের কাছে থাকা প্রমাণগুলো পাঠানোর অনুরোধ করে আসলেও তুরস্ক সৌদির অনুরোধ এখন পর্যন্ত শোনেনি।
খাশোগি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গত বছরের ২ অক্টোবর সৌদি কনস্যুলেটে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। পরবর্তিতে তুরস্ক জানায়, সৌদি আরবের একটি হত্যাকারী দল তাঁকে কনস্যুলেটের ভেতর হত্যা করেছে। এ ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বেশ কয়েক জন সহযোগী জড়িত বলে দাবি করে তারা।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) তদন্ত শেষে জানায়, খাশোগিকে হত্যার জন্য যুবরাজ নিজেই নির্দেশ দিয়েছেন। অবশ্য সৌদি কতৃপক্ষ এ অভিযোগ নাকচ করে ওই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।
অবশ্য আলজাজিরার আংকারায় নিযুক্ত সাংবাদিক সিনেম কোশেয়েগলু বলছেন, ‘তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন হিসেবে যে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে তাদের বিষয়ে সৌদি আরব কোনো তথ্য দিচ্ছে না। তাই তাদের মৃত্যুদন্ড হয়ে গেলেও সেই সিদ্ধান্ত সম্ভবত স্বস্তি দেবে না’।
আরইসলাম/০৪.০১.১৯