এবার ভারতের বাজারেও পেঁয়াজের কেজি ১৫০রুপি

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ- এমন সংবাদে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম রাতারাতি ২শত টাকার উর্ধে¦ উঠে গেল। বিদেশ থেকে কার্গো জাহাজে করে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। টিসিবি ৪৫টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। কিন্তু, কোন অবস্থাতেই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে আনা যাচ্ছেনা।

বাংলাদেশে এখনও পেঁয়াজের কেজি ২০০ টাকার উর্ধে বিক্রি হচ্ছে। এবার ভারতেও পেঁয়াজের দাম ১৫০ রুপি ছাড়াল। যা’ নিয়ে বৃহস্পতিবার,৫ ডিসেম্বর তুমুল তর্ক হয়েছে দেশটির পার্লামেন্টেও।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু বাজার এবং কলকাতার একটি বাজারে গত বুধবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ রুপি কেজি দরে। এর মধ্যে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গঠিত রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সও জানিয়ে দিল, চলতি মাসে পেঁয়াজের এই সঙ্কট শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম।

বুধবার, ৪ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১৫০ রুপি। নওদার আমতলা বাজারেও পেঁয়াজের দাম ১৪০-১৫০ রুপি কেজি। কলকাতায় রাজডাঙা বাজারেও পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ রুপি দরে। এ ছাড়া গড়িয়াহাট, মানিকতলা, লেক মার্কেট, ল্যান্সডাউনের বাজারগুলোতে দর উঠেছিল ১৪০ রুপি।

পেঁয়াজের ঝাঁজ মানুষকে কাঁদিয়ে ছাড়লেও টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা আশার কথা শোনাতে পারেননি। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে আনন্দ বাজারকে বলেন, শীতে অন্যান্য সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। কিন্তু, এ মাসে পেঁয়াজের সঙ্কট চলবে বলেই আশঙ্কা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের মতো দিল্লিতেও পেঁয়াজের দাম একশত টাকার সীমানা অতিক্রম করেছে। পেঁয়াজ নিয়ে এ দিন পার্লামেন্টেও সরব হন বিরোধীরা। তাদের প্রশ্নের মুখে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে বন্যার ফলে উৎপাদন মার খেয়েছে। তবে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কম দামে পেঁয়াজ সরবরাহ করছে। রফতানি বন্ধ হয়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদারের জন্য মজুদের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যদিও দাম কবে নাগালের মধ্যে আসবে, তা নিয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি নির্মলা।

পার্লামেন্টে একজন সদস্য নির্মলাকে প্রশ্ন করেছেন, ‘আপনি কত দামে পেঁয়াজ কিনছেন? বিরোধীদের এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মলা বলেন, ‘আমি পেঁয়াজ, রসুন খাই না বললেই চলে। তাই আমাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না। আমি যে পরিবার থেকে এসেছি, সেখানে পেঁয়াজের ব্যবহার ততটা নেই।’

এর পরেই বিরোধী এমপিরা সীতারামনকে ‘মারি আঁতোয়ানেত’ বলে কটাক্ষ করেন। ফ্রান্সে রাজা ষোড়শ লুইয়ের সময় যখন ভয়ঙ্কর খাদ্য সঙ্কট চলছে, তখন রানি মারি আঁতোয়ানেত প্রজাদের পাউরুটি খেয়ে থাকতে বলেছিলেন। সীতারামনের ওই বক্তব্য নিয়ে এদিন তাকে কটাক্ষ করেন ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমও।
এসকে/রাতদিন