করোনার উপসর্গ নিয়ে এক পরিবারের ৩ জনসহ ৫ জন রংপুর মেডিকেলে ভর্তি

একই পরিবারের তিন জনসহ পাঁচ জনকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত পরিবারের তিনজনই সম্প্রতি ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। আক্রান্তদের সবাই ঠাকুরগাঁও জেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে আড়াই বছরের এক শিশু রয়েছে।

শনিবার, ২৮ মার্চ বিকেলে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: নাদিরুল আজিজ চপল ঢাকার আইইডিসিআর এ যোগাযোগ করে তিন জনসহ আগে থেকে আইসোলেশনে থাকা আরো দুইজনকে রংপুরে রেফার্ড করেন। তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক উপসর্গ দেখা গেছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, শরীরে জ্বর নিয়ে গত শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে করে শনিবার সকালে ঠাকুরগাঁও এ আসেন তারা। বাসায় আসার পর তাদের শরীরে জ্বরের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। এর সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়।

ওই পরিবারের বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান জানান, আড়াই বছরের এক শিশুসহ স্বামী-স্ত্রী উভয়ই জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টসহ পাতলা পায়খানা রোগে ভুগছেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে, ওই পরিবারের কর্তা ঢাকায় রেস্টেুরেন্ট ব্যবসা করেন। গত ১৩ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের আয়োজনে মাদারীপুরে পিকনিকে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে একজন জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসায় জড়িত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন। এরপর থেকে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে তার স্ত্রী-সন্তানও জ্বর ও প্রচন্ড বুকের ব্যথাসহ শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। ওই অবস্থায় শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে ঠাকুরগাঁও এ আসেন।

শনিবার বিকাল থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সিভিল সার্জনসহ ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করেন।

পরে সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: নাদিরুল আজিজ চপল ওই তিন জনকে সহ আগে থেকে আইসোলেশনে থাকা আরো দুই জনকে রংপুরে রেফার্ড করেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ হিরম্ব কুমার রায় ওই রোগীদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । তিনি জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে, তারা করোনা আক্রান্ত কী না।

জেএম/রাতদিন