কাঁটাতারের এপারের ভারতীয়দের স্থায়ীভাবে ওপারে নেয়ার পরিকল্পনা

সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার এপাশে বাংলাদেশ অংশে থাকা ভারতীয় গ্রামবাসীদের বেড়ার ওপারে ফিরিয়ে নেয়ার চিন্তাভাবনা করছে দেশটির প্রশাসন। এটি বাস্তবায়িত হলে ওইসব মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন।

খবরে বলা হয়, বিএসএফ চাচ্ছে সম্ভব হলে ওই এলাকার মানুষ বেড়ার ভিতরে এসে বসবাস শুরু করুক। এতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন তারা। বেড়ার বাইরে থাকায় তাঁদের আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিয়মকানুন মেনে চলতে হচ্ছে। অনেক সময় তা স্বাভাবিক চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করছে বলে এলাকার মানুষ মনে করছেন। বিষয়টি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছেও বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।

সমস্যা সমাধানে স্থানীয় এবং বিএসএফের উচ্চকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সম্মতি জানার জন্য বেড়ার বাইরে থাকা মানুষের সঙ্গে কথাও বলা হচ্ছে। বিএসএফের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে।

দেশটির কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কলসিগ্রাম, চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাঁড়িকামাতের মতো বেশ কয়েকটি এলাকা কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে পড়েছে। যা লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা লাগোয়া।

কাঁটাতারের বেড়ার নির্দিষ্ট গেট দিয়ে ওইসব বাসীন্দাদের ভারতের মূল ভুখন্ডে প্রবেশ করতে হয়।  এর জন্য নির্দিষ্ট পরিচয়পত্রও দেখাতে হয় বিএসএফকে। এনিয়ে মাঝেমধ্যে ভুল বোঝাবুঝিও তৈরি হয়। এই অবস্থায় বেড়ার বাইরে থেকে বেড়ার ভিতরে ফিরে বসবাস করলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বেড়ার বাইরে থাকা সকলের আর্থিক সমস্যা সহ নানা কারণে এপারে ফিরে আসা সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সবিতা বিশ্বাস জানান, ওইসব মানুষ স্থায়ীভাবে এপারে ফিরে আসতে চান কি না তা নিয়ে বিএসএফের তরফেও জানতে চাওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি বিএসএফের কর্তারা খোঁজখবর নিয়েছেন। ওই এলাকার মানুষ মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি সঞ্জয় পন্থ বলেন, কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে কিছু বসতি এলাকা রয়েছে। সেখানে সীমান্তের বিভিন্ন নিয়মকানুন রয়েছে। ওই এলাকার মানুষ যদি এপারে পাকাপাকিভাবে চলে আসতে পারেন তবে অনেক বেশি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন।

এবি/রাতদিন