রংপুরের কাউনিয়ায় একটি বেসরকারি সংস্থার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সাব্বির খানের মোটরসাইকেলের সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় রাখা ১৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে পুলিশের তৎপরতায় উদঘাটিত হয় আসল তথ্য। `ব্যুরো বাংলাদেশ’ নামের এক এনজিওতে এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে কাউনিয়া বাসস্ট্যান্ডে রাখা ওই মোটরসাইকেল থেকে ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে।
উদ্ধারের পর পুলিশের সন্দেহ হলে বিষয়টির তথ্য উদ্ধারে নেমে পড়ে তারা। পুলিশকে ফোন করে ইয়াবা ট্যাবলেটের সন্ধানদাতা শহিদুল্লাহ কাওসার মজনুকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ বিচক্ষণতার সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসতে থাকে।
মজনুর বরাত দিয়ে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এনজিওর ওই ম্যানেজারের সঙ্গে তার স্ট্যাফদের অফিসিয়াল বিষয়ে কিছুদিন থেকে বনিবনা হচ্ছিল না। তাই ম্যানেজারকে ফাঁসাতে অফিসের কয়েকজন মিলে ম্যানেজারের মোটরসাইকেলের সিটের নিচে ১৫টি ইয়াবা রেখে পুলিশকে ফোন দেয়।
পুলিশের বিচক্ষণতায় ম্যানেজারকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেল স্টাফরা। এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হল, কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী উপজেলার রেফাজুল ইসলাম, বগুড়া জেলার কালাইহাটা এলাকার শামীম হোসেন, ধুনটের বগুড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম, বগুড়া জেলার নাজমুল হাসান, জাকির হোসেন ও গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার শামসুজ্জামান ভুঁইয়া।
এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ওসি আজিজুল ইসলাম জানান, সাব্বির খানকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং মামলা রুজু করে আটকৃতদের বুধবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জেএম/রাতদিন