লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে একটি সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সংস্কার কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন ইউএনও।
আজ বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে স্থানীয় লোকজনের কাছে অভিযোগ পেয়ে সড়ক সংস্কার কাজ পরিদর্শনে আসেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান । পরে তিনি কাজ বন্ধ রাখার পাশাপাশি উপজেলা প্রকৌশলীকে সঠিকভাবে কাজ বুঝে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রায় ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের আওতায় তুষভান্ডার-দলগ্রাম রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে। লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের তুষভান্ডার(রাজবাড়ী রোড) থেকে দলগ্রাম (খোকা চেয়ারম্যানের বাড়ি) পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ মিটার দীর্ঘ ও ১৬ ফুট প্রস্তের নির্মাণকাজটি পায় ‘বিনিময় টের্ডাস’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে কাজটি কিনে নেয় ঠিকাদার বদিউজ্জমান প্লাবন ও তার ব্যবসায়ীক অংশীদার।
কাজ শুরুর পর থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন একাধিকবার কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবু তৈয়ব মোহাম্মদ সামছুজামানকে জানালেও কোনো কাজ হয়নি।
এ অবস্থায় আজ বুধবার বিকেলে নিম্নমানের ইটের ছয় ইঞ্চির বদলে চার ইঞ্চির খোয়া ব্যবহারের পর বিটুমিনের ‘প্রাইমকোট’ দেওয়ার সময় স্থানীয়রা কাজ আটকে দেয়। পরে সেখানে আসেন ইউএনও।
এ বিষয়ে বদিউজ্জমান প্লাবন বলেন, ‘আমার লোকজন যেভাবে কাজ করছে তাতে নিম্নমানের কোনো প্রশ্নই নেই । স্থানীয় লোকজন মিথ্যা অভিযোগ করছেন ।’
এবিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী আবু তৈয়ুব মোহাম্মদ সামছুজামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে ‘মিটিংয়ে আছি’ বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান জানান, রাস্তার কাজে ‘ফিটনেস কম’ রয়েছে। তাই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি উপজেলা প্রকৌশলীকে সঠিক ভাবে কাজ বুঝে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এইচএ/রাতদিন