লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বন্ধ করে দেয়া সড়কের সংস্কার কাজ আবারও শুরু হওয়ার পর নতুন করে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এবার নি¤œমানের বিটুমিন ব্যবহার করে যেনতেন ভাবে কার্পেটিং করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। আড়াই কিলোমিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্যরে সড়কটির একাংশ কার্পেটিং করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে। অথচ আজ শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরেই একাধিক স্থানে কার্পেটিং উঠে যেতে দেখা গেছে।
গতকাল এলাকার লোকজন আবারও নি¤œমানের কাজের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ শুরু করলে ঘটনাস্থল থেকে ঠিকাদারের প্রতিনিধি ও এলজিইডির লোকজন সেখান থেকে কৌশলে চলে যান। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ওই সড়কে নিম্নমানের ও নিয়ম বর্হিভূত খোয়া ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ ওঠার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
জানা গেছে, প্রায় ৫৩ লাখ টাকা ব্যায়ের সড়কটি লালমনিরহাট-বড়িমারী মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলা সদরের তুষভান্ডার(রাজবাড়ি রোড) থেকে দলগ্রাম (খোকা চেয়ারম্যানের বাড়ি) পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ মিটার দীর্ঘ ও ১৬ ফুট প্রস্থের সড়কটি সংস্কারের কাজ পায় ‘বিনিময় টেডার্স’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, কাজটিতে শুরু থেকেই নানা অনিয়ম করা হচ্ছে। বারবার অভিযোগ করার পরেও এলজিইডির লোকজন অনেকটা দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কার্পেটিং শুরু হওয়ার পর সেই অনিয়মের মাত্রা যেন আরও বেড়েছে। নিম্নমানের বিটুমিন, পাথর ও সড়কটি ভালোভাবে পরিস্কার না করেই কাজ শুরু করায় কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। হাত দিয়ে টানতেই খোলসের মতো তা উঠছে।
তুষভান্ডার এলাকার আব্দুর রহমান বলেন, ‘রাস্তার কাজ সঠিকভাবে করা হচ্ছে না। যেভাবে কাজ করেছে সেটাকে কাজ বলা যায় না। নিম্ননের পিচ(বিটুমিন) ব্যবহার করায় সেগুলো এখন উঠে আসছে’। অপর একজন অভিযোগ করেন, ‘যেনতেন ভাবে নি¤œমানের বিটুমিন দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার। সেকারণে কার্পেটিং করতে না করতেই তা উঠে যাচ্ছে। কাজ ভালো করে করার জন্য আমরা বারবার অনুরোধ করার পরেও তারা তাদের মতোই কাজ করে যাচ্ছে’।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঠিকাদারের প্রতিনিধি মাসুদ রানা জানান, ‘বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সময় কাজটি করায় কিছু অংশের কার্পেটিং উঠে গেছে। আমরা এগুলো আবার ঠিক করে দিব’।
এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান গতকাল শুক্রবার বিকেলে নি¤œমানের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়নি দাবি করে বলেন, ‘নতুন কার্পেটিং হাত দিয়ে টানলে উঠে আসবেই’।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবু তৈয়ব মোহাম্মদ সামছুজ্জামান জানান, সরেজমিন পরিদর্শন ও পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর অভিযোগ প্রমানিত হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
এবি/রাতদিন