কুড়িগ্রামে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকুরি দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নেওয়া ৩৩ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নিয়োগ–বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ (এএসপি) ছয়জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, ৯ জুলাই কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেছেন।
তিনি জানান, কোনো ঘুষ ও তদবির ছাড়া মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এবার কুড়িগ্রামে ৩৩ জন কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাওয়া ৩৩ জনের নামের তালিকা সাংবাদিকদের দিয়ে বলেন, এঁদের কারও বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে নিয়োগ বাতিল করা হবে। সেই সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কনস্টেবল পদে নিয়োগ–বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এএসপি রিপন কুমার মোদককে তাৎক্ষণিকভাবে খাগড়াছড়ি ও উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তালেবকে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। এসপি কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক আবদুল মান্নান ও উচ্চমান সহকারী ছকমল এবং রংপুর ডিএসবির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্পিডবোটের চালক সাইদুর রহমান ও রেশন গুদামের ওজনদার আনিছুর রহমানকে প্রত্যাহার করে পুলিশের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গত ২৯ জুন কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনস মাঠে কনস্টেবল নিয়োগ–প্রক্রিয়া শুরু হয়। শারীরিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এবি/রাতদিন