চীনে বন্যপ্রাণী খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া চীন এবার দেশটির নাগরিকদের বন্যপ্রাণী খাওয়া ও পালনে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর দেশটির সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।

করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশের উহান শহরের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাস প্রথম ছড়ায় বলে দাবি করা হয়। কিন্তু কোন প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার হওয়া সম্ভব হয়নি। বাদুড়, সাপ ও বনরুই থেকে এই প্রাদুর্ভাব-এমনটিই সন্দেহ করা হচ্ছে।

তবে চীন স্বীকার করেছে, লাভজনক বন্যপ্রাণী ফার্মগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এখান থেকে আর কোনো ভাইরাস ছড়াতে না পারে।

ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে পরিবেশ, বৈজ্ঞানিক ও সামাজিক মূল্য আছে এমন স্থলজ বন্যপ্রাণী খাওয়া ও পালনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল চীন। চলতি বছরের শেষের দিকে যা আইন হিসেবে সই করা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

কিন্তু বন্যপ্রাণীর এই বাণিজ্য বন্ধ করা কঠিন হবে বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ চীনের সংস্কৃতিতে তা গভীরভাবে মিশে আছে। কেবল খাবারই নয়, দেশটির ঐতিহ্যবাহী ওষুধ, পোশাক ও অলঙ্কারও নির্ভর করছে বন্যপ্রাণী পালনের ওপর।

নোভেল করোনাভাইরাসের মূল কেন্দ্রবিন্দু উহানের সামুদ্রিক খাবারের বাজারে মাছের চেয়েও বেশি বিক্রি হতো বন্যপ্রাণী। সেখানকার বাজারগুলোতে সাপ, রেকুন, কুকুর, শজারু,বনরুই ও হরিণকে ঠেসে খাঁচার ভেতরে রাখা হয়। দোকানি ও স্টোর মালিকরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকেন।

ক্রেতার সামনেই গলা কেটে হত্যা করা হয় এসব প্রাণীকে বলে সামাজিক মাধ্যমের ফুটেজ দেখা গেছে।

এবি/রাতদিন