বাংলাদেশ-ওয়েষ্টইন্ডিজ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। পিচ প্রতিবেদনেও বলা হয়েছিল, নতুন বলে প্রথম ১০ ওভারে বিপদে পড়তে পারেন ব্যাটসম্যানরা। ১০ ওভারে বাংলাদেশ মাত্র ১ উইকেট তুলে নিলেও বোলাররা ছিলেন দুর্দান্ত। ১ উইকেটে মাত্র ৩২ রান তুলতে পেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের ১০ ওভারে রান রেট কিছুটা বাড়লেও তেমন একটা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। এই ১০ ওভারে ৫৪ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
পরের ১০ ওভারে এসেছে ৬৫ রান। তবে এবারও উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। নিজের তৃতীয় ওভারে (ম্যাচে ২৪তম ওভার) এসে এভিন লুইসকে তুলে নেন সাকিব আল হাসান।
মেডেন নিয়ে বাংলাদেশের বোলিং শুরু করেছিলেন মাশরাফি। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলেই ক্রিস গেইলকে (০) উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করেন এ পেসার। ১৩ বল খেলে কোনো রান না করা গেইলের এ ইনিংসটি দেখলে বোঝা যায় শুরুতে বাংলাদেশের পেসাররা কত ভালো বল করেছেন। মুভমেন্ট ও সুইং পেয়েছেন পেসাররা।
স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে ১০ম ওভারে আক্রমণে এনেছেন মাশরাফি। তার আগে নয় ওভার করেছেন তিন পেসার মিলে—মাশরাফি নিজে, সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমান। সাইফউদ্দিন শুরু থেকেই দুই প্রান্তে সুইং পেয়েছেন। প্রথম স্পেলে তাঁকে দিয়ে ৩ ওভার বোলিং করিয়েছেন মাশরাফি। এ পেসারের বোলিং বিশ্লেষণ ৩-১-১২-১। মাশরাফি অন্য প্রান্তে তাঁর প্রথম স্পেলে ৭ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়েছেন।
তবে দ্রুত উইকেট না পরায় শেষদিকে বাংলাদেশী বলারদের ওপর চড়াও হন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। একটা সময় ৩৭৫ উর্ধ রানের সম্ভাবনা দেখা দিলেও শেষদিকে আবারও ভালো বোলিংএ ৩২১ এ থেমে যায় ক্যারিবীয় ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩২১/৮ (শাই হোপ ৯৬, এভিন লুইস ৭০, হিতমার ৫০, হোল্ডার ৩৩, নিকোলাস ২৫, ড্যারেন ব্রাভো ১৯; মোস্তাফিজ ৩/৫৯, সাইফউদ্দিন ৩/৭২, সাকিব ২/৫৪)।
জেএম/রাতদিন