বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সোমবার, ৮ জুলাই দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করেছে। কর্মচারি সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারি ও শিক্ষক-পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান নেয়। বিকেল পাঁচটার পর তালা খুলে দেয়া হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে মঙ্গলবার আবারও তালা লাগানো হবে হুঁশিয়ারী দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
কর্মচারীদের উপর হামলার বিচার ও তিন দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচির ১২ দিনের মাথায় প্রশাসনিক ভবনে সোমবার বেলা ১১টার দিকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। এর আগে গতকাল আন্দোলনকারীরা রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করে তিন শতাধিক কর্মচারি।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সোমবার আন্দোলরত কর্মচারিরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে টানা বারো দিনের মত কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে অবস্থান নেয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আতিউর রহমানের নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও প্রায় ৫০ জন শিক্ষক পুলিশ ও আনসারের বিশাল বহর নিয়ে সেই তালা ভাঁঙ্গতে যায়। তাদের সাথে এসময় রড হাতে বহিরাগতদেরও দেখা যায়। এ সময় আন্দোলরত কর্মচারীদের সাথে প্রশাসনের বাকবিতন্ডা হয়। এতে পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে আতংক।
উত্তেজনার এক পর্যায়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় দুই পক্ষ। তবে বিকেলে আন্দোলনকারীরা নিজেরাই তালা খুলে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মাহবুবার রহমান বাবু জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগানো হবে দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত।
আন্দোলনকারীরা জানান, গত ২৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে প্রতিবাদ করে কর্মচারীরা। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে কর্মচারীদের উপর হামলা করে তালা ভেঙ্গে দেয় প্রশাসন।
তারা বলেন, দুইবার কর্মচারিদের সঙ্গে লোকদেখানো বৈঠকে বসেছিলেন প্রক্টরিয়াল বডি। কিন্তু দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় গতকাল রোববার প্রক্টরের দপ্তরে তালা দেয়া হয়।
জানা গেছে, আন্দোলনের কারণে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহনে ব্যহহৃত গাড়িগুলো চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও শিক্ষার্থী পরিবহনের বাস চালু আছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা আতিউর রহমানকে সোমবার বিকালে ফোন করা হলে তিনি তা ধরেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
এবি/রাতদিন