দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চলতি বছরই শুরু হতে যাচ্ছে সম্ভাবনাময় দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দরের কার্যক্রম। এরই মধ্যে নির্মাণকাজ চলছে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও বিজিবি চেকপোস্টের। রেলওয়ের সাইট লাইন নির্মাণের জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে, যা মন্ত্রণালয়ের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ আমল, স্বাধীনতার পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে দিনাজপুরের বিরলের এ অংশ দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু ছিল। রেলওয়ে ও সড়কপথে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটানের বাণিজ্যিক লেনদেনের সম্ভাবনা দেখে ২০০৫ সালে বিরল স্থলবন্দর স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করে সরকার। ভারত সীমান্তের ওপারে রাধিকাপুর পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইন থাকায় ২০১১ সালে পার্বতীপুর থেকে বিরল সীমান্ত পর্যন্ত মিটারগেজ রেললাইনকে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হয়।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আমদানি-রপ্তানিকারক রমাকান্ত রায় এ বিষয়ে জানান, আমদানি-রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্থলবন্দরটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সুবিধা হবে। এ বন্দরটি হবে দেশের একমাত্র বন্দর, যাতে রেল ও স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি হবে, সেটিও ৩টি দেশের সঙ্গে।
এ ব্যাপারে বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিনাত রহমান জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ খুব শিগগির সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করবে। এটি চালু হলে দিনাজপুরে দুটি স্থলবন্দর হবে।
কাস্টমস কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, এমন একটি স্থলবন্দর চালু হতে যাচ্ছে, যেটির সঙ্গে রেল ও স্থল দুটিই যুক্ত থাকবে। এতে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিতে অনেকটা প্রভাব পড়বে। চালু হলে রাজস্ব বাড়বে।
বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন বলেন, রেলপথের সাইট লাইন ও সড়ক সংযোগ নির্মাণ হলে এ বছরই বিরল স্থলবন্দর পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।
এর আগে স্থলবন্দরটি চালু করতে গত ৬ জুলাই বন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাই ও পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও রেলপথমন্ত্রী। এ ছাড়া গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিরল স্থলবন্দর চালুর ব্যাপারে সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তরিকুল ইসলাম।
এনএ/রাতদিন