ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের সুবিধার্থে হুইল চেয়ার রাখার ব্যবস্থা থাকছে। একইসঙ্গে তাদের সুবিধার্থে থাকছে প্রশস্ত দরজা ও নির্ধারিত আসনের সুবিধা।
এই প্রতিবন্ধীবান্ধব ট্রেনে ওয়াইফাইসহ অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকছে। এ ছাড়াও ট্রেনটিতে রয়েছে পরিবেশবান্ধব বায়ো-টয়লেটের ব্যবস্থা। যার ফলে যাত্রীদের মল-মূত্র রেললাইনে পড়ে পরিবেশ দূষণ হবে না।
এসব সুবিধা নিয়ে শিগগিরই ঢাকা-ঈশ্বরদী-বেনাপোল রুটে চালু হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম প্রতিবন্ধীবান্ধব ট্রেন। তবে চালুর সিদ্ধান্ত হলেও এখনো ট্রেনটির নামকরণ ও ভাড়া নির্ধারিত হয়নি। আগামী ২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনটির উদ্বোধন করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে কালের কন্ঠ অনলাইন।
জানা গেছে, আমদানি করা প্রতিটি কোচ উচ্চগতিসম্পন্ন বগি, স্টেইনলেস স্টিলের বডি ও আধুনিক অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম জার্মানির তৈরি। তা ছাড়াও প্রতিটি কোচে আধুনিক ও উন্নতমানের মাউন্টেড এয়ার কন্ডিশনার যাত্রী ইউনিট এবং এয়ার কন্টেইনারের ব্যবস্থা থাকবে।
সেইসঙ্গে থাকছে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এলইডি লাইট, অজুখানাসহ নামাজ ঘর, সুইং ডোরের পরিবর্তে নিরাপদ স্লাইডিং ডোর, যাত্রী সাধারণের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত চেয়ার, স্টেয়ার, পার্সেল রেক, টিভি মনিটর, হ্যাঙ্গার, ওয়াইফাই রাউটার ও মোবাইল চার্জিংয়ের ব্যবস্থা। এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিত ট্রেন থামানো রোধে বিশেষভাবে ডিজাইন করা অ্যালার্ম চেন পুলিং সিস্টেম, অত্যাধুনিক ডাইনিং সুবিধা ও সিবিসি কাপলার।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্যমতে জানা গেছে, নতুন এই ট্রেনের দুটি কোচের প্রতিটিতে ১২টি করে ২৪টি চেয়ার প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। প্রতবন্ধীরা যাতে হুইল চেয়ার দিয়ে ট্রেনের অভ্যন্তরে চলাফেরা করতে পারে, সেজন্য প্রতিটি কোচের দরজাও থাকবে প্রশস্ত।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, এই ট্রেনে কতটি বগি থাকবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ১০ থেকে ১২টি বগি থাকতে পারে।
এবি/রাতদিন