আজ শুক্রবার ১৫ মার্চ, নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৪০ মিনিটে ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্ধুকধারী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের গুলিতে অনন্ত ৪৯ জন মানুষ নিহত হয়েছে। তার মধ্যে তিন বাংলাদেশী নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
কৃষিবিদ ড. আবদুস সামাদ তিনজন নিহত বাংলাদেশির মধ্যে একজন। একজন হুসনে আরা পারভীন (৪২), তিনি সিলেটের বাসিন্দা।
নিজের স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে পারভীনকে প্রাণ দিতে হয়েছে। পারভীনের স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদ বর্তমানে ওই এলাকার আত্মীয়দের সাথে তাদের তার বাসায় অবস্থান করছে। গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন মুসল্লি হুইল চেয়ারে করে ফরিদ উদ্দিনকে মসজিদ থেকে বের করে নেওয়ায় তিনি বেঁচে গেছেন।
নিহত হুসনে আরার ভাগ্নে মাহফুজ চৌধুরী বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের এই এলাকায় দুটি মসজিদ রয়েছে। একটি মসজিদে পুরুষরা নামাজ আদায় করে এবং অন্যটিতে নারীরা নামাজ আদায় করেন।
সন্ত্রাসীরা হামলার প্রায় আধঘণ্টা আগে আমার খালা হুসনে আরা তার অসুস্থ স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদকে মসজিদে নিয়ে যান। নারীদের মসজিদে চলে যাওয়ার আগে খালা হুইল চেয়ার করে তার স্বামীকে পুরুষদের মসজিদের ভেতরে রেখে আসেন। মসজিদ দুটি পাশাপাশি ছিল।’
মাহফুজ চৌধুরী আরো বলেন, ‘এর প্রায় ১৫ মিনিট পর হঠাৎ গুলির আওয়াজ শুনে তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য তার খালা বাইরে বের হন। এসময় সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুরে, গুলি লাগলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।’
পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত পারভীন ও ফরিদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ১৯৯৪ সালে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।বিয়ের কয়েক বছর পর তারা নিউজিল্যান্ডে চলে যান। সর্বশেষ ২০০৯ সালে তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন।