সৌদি আরবে গিয়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হওয়া পঞ্চগড়ের সেই নারী সুমি আক্তার অবশেষে দেশে ফিরেছেন।
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর বিকালে বোদা উপজেলার নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহমুদ হাসানের উপস্থিতিতে পরিবারের কাছে সুমিকে হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, কয়েক দিন পূর্বে সুমি আক্তার সৌদি আরবে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে দেশে ফেরার আকুতি জানান। এই খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে সরকারের প্রচেষ্টায় তাকে দেশে এনে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
সুমি আক্তার জেলার বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের বৈরাতী সেনপাড়া গ্রামের দিনমজুর রফিকুল ইসলামের বড় মেয়ে। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বড়। গত দুবছর পূর্বে আশুলিয়ার চারাবাগানের নূরুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
এ বিষয়ে সুমির বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, পরিবারের বোঝার হাল ধরতে সে বিদেশে যায়। আমার মেয়ে যে সেখানে গিয়ে নির্যাতিত হবে এটা জানতাম না, আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই আমার মেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য।
সুমি আক্তার জানান, ‘আজ থেকে আমি নতুন জীবন পেলাম। আমাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহমুদ হাসান জানান, ‘সাংবাদিক ও পাঁচপীর ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সুমিকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়।’
এনএ/রাতদিন