পাইপ চেপে ধরার পুরস্কার ৫ হাজার ডলার, নাঈমের পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন প্রবাসী

দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। ধোঁয়ার ভেতর আটকেপড়া লোকজন বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন। টিকতে না পেরে কেউ কেউ ভবন থেকে লাফ দিয়ে পড়ছে নিচে। বনানীর এফআর টাওয়ারের ভেতর তখন দাউ করে জ্বলেছে আগুন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেশির ভাগ মানুষ যখন দর্শনার্থী হয়ে ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণে ব্যস্ত ছিল, শিশু নাঈম ইসলাম তখন নেমে পড়ে উদ্ধার কাজে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত ফায়ার সার্ভিসের একটি পাইপের ছিদ্র পলিথিন দিয়ে পেঁচিয়ে দুই হাতে চেপে ধরে আছে শিশু নাঈম। পাইপ দিয়ে যাওয়া পানি যেন ছিদ্র দিয়ে যেন বেরিয়ে না যায় সেজন্য ছোট দুই হাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালায় সে।



নাঈম নামের সেই ছেলেটির কথা এখনো মানুষের মুখে মুখে মুখে। অসহায়ত্বের ছাপ নিয়ে উৎকণ্ঠিত ব্যাকুল শিশুটির ছবি ছাপা হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। সামাজিক যোগেযোগ মাধ্যমে হয় ভাইরাল।

সেই শিশুটিকে পুরস্কার হিসাবে পাঁচ হাজার ডলার বা প্রায় চার লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক বাংলাদেশি। ওমর ফারুক সামি নামের ওই প্রবাসী নাঈমের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ওমর ফারুক সামি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মানুষের প্রতি নাঈমের ভালোবাসা দেখে আমি খুবই খুশি হয়েছি। নাঈম খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করছে। সে পুলিশ অফিসার হতে চায়। তার ইচ্ছে পূরণ করতে আজ থেকে তার পড়ালেখার দায়িত্ব নিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে তার উপহারের পাঁচ হাজার ডলারও প্রদান করব।’

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করে নাঈম। ব্র্যাকের আনন্দ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে সে। তার বাবা একজন ডাব বিক্রেতা, আর মা গৃহকর্মী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ওমর ফারুক সামি বলেন, ‘মানুষের প্রতি নাঈমের ভালোবাসা দেখে আমি খুবই খুশি হয়েছি। নাঈম খুব কষ্ট করে লেখাপড়া করছে। সে পুলিশ অফিসার হতে চায়। তার ইচ্ছে পূরণ করতে আজ থেকে তার পড়ালেখার দায়িত্ব নিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে তার উপহারের পাঁচ হাজার ডলারও প্রদান করব।’

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করে নাঈম। ব্র্যাকের আনন্দ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে সে। তার বাবা একজন ডাব বিক্রেতা, আর মা গৃহকর্মী।

বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ দুপুরে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।