রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডে এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনে আটকা পড়েছেন ফাহাদ ইবনে কবির নামে নামে এক আইটি ইঞ্জিনিয়ার। মায়ের সঙ্গে তার এক ঘন্টা আগেও কথা হয়েছে। এখন তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি ফাহাদের মায়ের।
আগুন লাগা ভবনে আটকা পড়েছেন অনেকেই। ওই ভবনে মৃত্যুর মুখোমুখি ফাহাদ ফোন দেন মা ফরিদা ইয়াসমিনের কাছে। ফোন করে মাকে জানান, ভেতরে আগুনের ধোঁয়ায় তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি দম নিতে পারছেন না।
ছেলের সঙ্গে কথা বলার পরপরই মা ফরিদা ইয়াসমিন ছুটে আসেন এফআর টাওয়ারের নিচে। সেখানে ছেলের সন্ধানে তিনি আর্তনাদ শুরু করেন। ফরিদা ইয়াসমিন ঢাকায় ছেলের সঙ্গে থাকতেন।
ফরিদা ইয়াসমিন আর্তনাদ করে বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে এক ঘণ্টা আগেও আমার কথা হয়েছে। এখন তার মুঠোফোন বন্ধ পাচ্ছি। জানি না ছেলের ভাগ্যে কি ঘটেছে।’
তিনি জানান, তার ছেলে ১২ তলায় ডাট গ্রুপে কাজ করতেন। তিনি সেখানকার আইটি ইঞ্জিনিয়ার।
ফাহাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের ভবানীপুরে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ফাহাদ ছোট।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫0 মিনিটের দিকে এফআর টাওয়ারের ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে।
এদিকে ২২তলা ভবনটিকে আটকা পড়েছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে কেউ কেউ লাফিয়ে পড়ে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করছেন। এ রকম আহত কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লাফিয়ে পড়ে আহত শ্রীলংকার এক নাগরিককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
ভবনটিতে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের একাধিক কার্যালয় আছে। একই সঙ্গে গার্মেন্টের বায়িং হাউসসহ বিভিন্ন কার্যালয় রয়েছে।