বাজেটে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এ প্রস্তাব করেন বলে বাসস পরিবেশিত খবরে বলা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতের আওতা বাড়ানো হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবসমূহ হলো, বয়স্ক ভাতা ভোগীর সংখ্যা ৪০ লাখ থেকে ৪৪ লাখে বৃদ্ধি করা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ থেকে ১৭ লাখে বৃদ্ধি করা, সকল অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়ার লক্ষ্যে ভাতাভোগীর সংখ্যা ১০ লাখ থেকে ১৫.৪৫ লাখে বৃদ্ধি করা।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তির সংখ্যা ৯০ হাজার থেকে ১ লাখে বৃদ্ধি, উপবৃত্তির হার বাড়িয়ে প্রাথমিক স্তরে ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকায় উন্নীত, মাধ্যমিক স্তরে ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ৮৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকায় বৃদ্ধি।
হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ৬ হাজার জনে উন্নীত করা, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উপকারভোগীর সংখ্যা ৬৪ হাজার থেকে ৮৪ হাজারে বৃদ্ধি।
এছাড়া ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজারে বৃদ্ধি, চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজারে বৃদ্ধি।
আর দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতাভোগীর সংখ্যা ৭ লাখ থেকে ৭ লাখ ৭০ হাজার জনে উন্নীত করা, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তার আওতায় ভাতাভোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ ৭৫ হাজারে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এবি/রাতদিন