ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা ভোট গ্রহণ শেষ হলো বিচ্ছিন্ন নির্বাচনী সহিংসতা ও গোলমালের মধ্য দিয়ে। আর নির্বাচনে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের তিন জেলার ৫টি আসনে ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে মালদা এবং মুর্শিদাবাদের দুটি করে আসনে ভোট হচ্ছে বলে স্থানীয় সংবাদ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। এ দুটি জেলার কয়েক জায়গায় বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুর্শিদাবাদের ডোমকলে ব্যাপক বোমাবাজি হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। মালদার কয়েকটি জায়গায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেস। সোমবার, ২২ এপ্রিল রাতে ডোমকলে তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীসহ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবরে বলা হয়। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর বাইরে ৩ জেলার ৫টি কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে সকালের দিকে ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়ায় ভোট দেরি করে শুরু হয়। কোথাও আবার ভিভিপ্যাটে সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য ভোট শুরু করতে দেরি হয়।
এর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী প্রার্থীর এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের সুতি এলাকায় তাদের ক্যাম্পে পুলিশ ভাঙচুর চালিয়েছে বলে দাবী করেছে তৃণমূল।
প্রথম মৃত্যু ৩য় দফা নির্বাচনে
চলমান নির্বাচনের ৩য় দফা ভোটগ্রহনের সময় রাজ্যে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদে। এদিন তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন এক কংগ্রেস কর্মী। নিহত আবদুল কালাম টিয়ারুল শেখের পেটে হাঁসুয়ার কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ।
এতে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও এক কংগ্রেস কর্মী শেখ মেহবুব এবং এক তৃণমূল কর্মী তাহিজুল শেখ। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে নসিপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভগবানগোলার বালিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর একটা নাগাদ কংগ্রেস এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। এসময় টিয়ারুলের পেটে হাঁসুয়ার কোপ মারা হয়।
সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে পাঠানো হয় বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই মৃত্যু হয় টিয়ারুলের।
জেএম/রাতদিন