পথঘাট কিংবা বাড়ি। দোকান বা বাস-রেল স্টেশন। প্রতিদিনই মুখোমুখি হতে হতে হয় তাদের।
এর-ওর কাছে হাত পেতে যা হয় তাই দিয়েই কোন মতে দিন চলে। তাই উৎসবের আনন্দ কিংবা রং কোনো ভাবে প্রভাব ফেলেনা জীবনে।
তারা সমাজে পরিচিত ভিখারি বা ভিক্ষুক হিসেবে।
তবে এই মানুষগুলোই এবার অংশ নিল পিকনিকে। পুরো দিন কাটালো আনন্দ-আড্ডায়। কেউ করেছেন গান-নাচ। কেউবা বলেছেন গল্প। ভাত-মাংসে হয়েছে ভোজন।
অন্যরকম এই পিকনিকের আয়োজন করা হয় আলোচিত নদী তিস্তাপাড়ে। প্রতিবেশি ভারতের জলপাইগুড়িতে। রোববার, ২৭ জানুয়ারি।
না, এই আয়োজন তারা নিজেরা করেননি। আয়োজনটি করেন সুরিন্দর মণ্ডল। যিনি জলপাইগুড়িবাসির কাছে ‘রাজুজোকার’ নামে পরিচিত। তার সাথে এগিয়ে আসেন স্থানীয় আরও কয়েকজন।
দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, জোকার সেজে টাকা তুলে এই পিকনিকের আয়োজন করে রাজু।
রাজুর পিকনিকে এসেছিলেন শতাধিক ভিক্ষুক। যাদের মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন প্রতিবন্ধীও৷
পিকনিকে অংশ নেয়াদের কেউ নিয়ে এসেছিলেন দোতারা। তাতেই সুর তুললেন, গান গাইলেন৷ গানের তালে নাচলেন অনেকেই।
সকালে পাউরুটি, মিষ্টি আর কলা খাওয়া হয়েছে। দুপুরের ছিল ডাল, ভাত আর খাসির মাংস।
রাজু জোকারের এই পিকনিকে সামিল হন তিস্তা পাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটক এবং সেখানে পিকনিক করতে আসা অন্যান্যরা।
অন্যরকম একটা দিন কাটিয়ে দিনশেষে নিজেদের ঠিকানায় ফিরে গেলেন সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো। আর যাওয়ার সময় রাজুর জন্য দুহাত তুলে করলেন আশির্বাদ।
এইচএ/২৭.০১