চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়ে ছিলেন দাউদ মালান (৮৪)। তবে দাপুটে খেলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি। রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ফের দ্যুতি ছড়ালেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের এ ওপেনার। তবে এবার আর মিস হলো না। সেঞ্চুরিটা তিনি ঠিকই আদায় করে নিলেন।
ইংলিশ টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান মালানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে কুমিল্লার পুঁজি দাঁড়িয়েছে ৮ উইকেটে ১৭০। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নয় জন বোলার ব্যবহার করে রাজশাহী রয়্যালস দুশোর নিচে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতে পেরে স্বস্তি পেয়েছে বটে! কারণ ইনিংসটা যে আরো বড় হতে পারত।
ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে লড়ে গেছেন কেবল মালান (১০০*)। ৫৪ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে থেকে যান অপরাজিত।
স্কোরটা ছাড়িয়ে যেতে পারত দুশো। যদি কুমিল্লা ম্যাচের প্রথম দশ ওভারের মতো রান তুলতে পারত। ১১.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তুলে ফেলে ছিল কুমিল্লা। কিন্তু মালান বাদে বাকি ব্যাটসম্যানরা যে পুরোই ব্যর্থ। যে কারণে দুশো রানের স্কোর ছোঁয়া হলো না তাদের।
সৌম্য সরকারের ২০ রানের সঙ্গে ক্যাপ্টেন দাসুন শানাকা করেন ১১। আর ভানুকা রাজাপাকসে দলীয় স্কোরে যোগ করেন ১০ রান। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ দুই অঙ্কের স্কোরও স্পর্শ করতে পারেননি। ছিলেন ব্যাট হাতে আসা যাওয়ার মধ্যে।
রাজশাহীর মোহাম্মদ ইরফান, আবু জায়েদ, ও আন্দ্রে রাসেল শিকার করেন দুটি করে উইকেট। ত্রয়ী এ বোলার খরচ করেন যথাক্রমে ২৩, ২৪ ও ২৬ রান।