রংপুরে এক স্কুলছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় খাদেমুল ইসলাম (২১) নামের এক তরুণকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
শনিবার, ১৯ অক্টোবর তারাগঞ্জ উপজেলা সদরে সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ওই ছাত্রীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রীটি তারাগঞ্জ সদরের একটি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ে। স্কুলে যাতায়াতের পথে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কাটগারী গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে খাদেমুল ইসলাম তাঁকে প্রায় উত্ত্যক্ত করতেন। ওই ছাত্রী বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এরপর ছাত্রীর বাবা গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি খাদেমুলের বাবাকে জানিয়ে ছেলেকে শাসন করতে বলেন। এতে খাদেমুল আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
আজ সকালে নিজ বাড়ি থেকে হেঁটে স্কুলে যাচ্ছিল ওই ছাত্রী। সাড়ে আটটার দিকে কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলামের বাড়ির সামনে উপজেলা পরিষদ-তারাগঞ্জ বাজার সড়কে খাদেমুল তাঁর পথরোধ করেন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারপিট করেন।
এ দৃশ্য দেখে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন এবং খাদেমুলকে আটক করেন। পরে তারাগঞ্জ থানার পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ খাদেমুলকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক উম্মে সালমা বলেন, মেয়েটির মুখে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
এদিকে খাদেমুল ইসলাম দাবি করেন, ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, আগে আমরা একে অপরকে ভালোবাসতাম। দুই মাস থেকে ও আর আমার সঙ্গে দেখা করে না। আজ আমাকে বেয়াদব বলায় মাথায় রাগ উঠেছিল। তাই একটা থাপ্পড় মেরেছি। এখন বুঝছি, কাজটা ঠিক করিনি।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিন্নাত আলী বলেন, ওই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা শ্লীলতাহানির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় খাদেমুলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনাস্থল তদন্ত করে ওই ছাত্রীকে মারপিটের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ ঘটানায় মামলা দায়েরের পর খাদেমুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এনএইচ/রাতদিন