রংপুরের কাউনিয়ায় মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য চান্দু মিয়া গ্রেপ্তার হয়েছে।
আজ সোমবার, ২৪ মে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের(এটিইউ) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। এটিইউ পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে মাজারের খাদেম রহমত আলীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১৭ সালের ৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন অর রশীদ জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রীসহ ১৪ জন জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৮ সালে ওই মামলায় সাতজনের ফাঁসির আদেশ দেন রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার। এছাড়া ছয়জনকে খালাস দেয়া হয়।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেএমবির রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার মাসুদ রানা, ওই সংগঠনের সদস্য এছাহাক আলী, লিটন মিয়া ওরফে রফিক, বিজয় ওরফে আলী ওরফে দর্জি, সাখাওয়াত হোসেন, সরওয়ার হোসেন ওরফে সাবু ও চান্দু মিয়া। আসামি নজিবুল ইসলাম এখনো পলাতক।
এইচএ/রাতদিন
উত্তরের মুখ