রংপুরের হাটগুলোতে ক্রেতা কম পশু বেশি

ক’দিন বাদেই পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার হাটগুলো যেন কোরবানির পশুতে ভরে উঠেছে। এর বাইরে জেলার বিভিন্ন প্রসিদ্ধ হাটগুলোতেও উঠছে প্রচুর পরিমাণে নানা জাতের পশু। আপাতত হাটগুলোতে কেনাবেচা কিছুটা কম থাকলেও ঈদ যতই ঘনিয়ে আসবে ক্রেতার সংখ্যা ততই বাড়বে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

কয়েকটি হাট সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হাটে গরু-ছাগলের পাশাপাশি উঠেছে মহিষ ও ভেড়া। বিভিন্ন দামের প্রচুর পরিমাণে এসব পশু উঠলেও এবারের বন্যা ও ধানের দাম না থাকার প্রভাব পড়েছে হাটগুলোতে।

জানা গেছে, রংপুরের আট উপজেলার হাটগুলোতে স্থানীয় খামারি ও ক্ষুদ্র গরু ব্যবসায়ীর পাশাপাশি সরাসরি গৃহস্থরাও গরু বিক্রি করতে হাটে আসছেন।

প্রতিবছরের মতো এবারো রংপুরে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য তারাগঞ্জহাট, বদরগঞ্জহাট, বড়াইবাড়ীহাট, লালবাগহাট, বুড়িরহাট, চৌধুরানীহাট, নজিরেরহাট, নিসবেতগঞ্জহাট, পাওটানাহাট, কান্দিরহাট, দেউতিহাট, টেপামধুপুরহাট, মিঠাপুকুরহাট, বৈরাতিহাট, জায়গীয়হাট, শঠিবাড়ীহাট, বালুয়াহাট, মাদারগঞ্জহাট ও ভোবাড়ীহাটসহ রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকার পশুর হাটগুলোতে কোরবানির জন্য গরু ছাগল বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে এসব হাটে স্বাভাবিকভাবে যে গরুর আমদানি হয়, তার চেয়ে এবার কিছুটা বেশি রয়েছে। কিন্তু এখনো ক্রেতারা হাটে সেভাবে আসছেন না।

নগরীরর লালবাগহাটের ইজারাদার আব্দুল্লাহ্ কাফি (দুদু) জানান, বন্যাকবলিত এলাকার খামারিরা পশুখাদ্যের সংকটে দ্রুত তাদের পশু বিক্রি করতে হাটে তুলছেন। তাই পশুর আমদানি তুলনামূলক বেশি হলেও ক্রেতার উপস্থিতিতে এখনো সরব হয়ে উঠেনি হাটগুলো।

ওই হাটে এসে গরু কিনেছেন জয়লাল আবেদীন নামের ক্রেতা। তিনি বলেন, ‘ঈদের কয়েকদিন বাকি থাকলেও আগেভাগে গরু কিনলাম। এতে কিছুটা হলেও দাম কম পেয়েছি।’

নুর আলম নামের আরেকজন বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে হাটে পশুর আমদানি বেশি। দামও চড়াও। গত বছর যে গরু ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। এবার তা ৬০ হাজার টাকায়ও মিলছে না। ছাগলেরও দাম বেশি মনে হচ্ছে।’

তবে হাটগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রচুর পরিমাণে পশু হাটে এলেও বিক্রেতা কম দামে গরু বিক্রি করতে নারাজ। যেহেতু এখনো ঈদের কয়েকদিন বাকি আছে তাই তারা শেষ পর্যন্ত দেখে এসব বিক্রির সিদ্ধান্ত নিবেন।

সাজু মিয়া নামে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, ‘গ্রামে যে দামে গরু কিনেছি হাটে এর চেয়েও অনেক কম দাম বলছেন ক্রেতারা। তাই এই অবস্থায় বিক্রি করলে আমাদের অনেক লোকসান হবে।’

এইচএ/রাতদিন