আফ্রিকার দরিদ্র দেশ নাইজেরিয়ায় টানা চার সপ্তাহ লকডাউনের পর তা শিথিল করা হয়েছে। আর লকডাউন ব্যবস্থা তুলে নিতেই দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার, ৫ মে পর্যন্ত দেশটিতে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ২ হাজার ৮৮০ টিতে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে ৯৩ জন মারা গেছে এবং ৪১৭ জন সুস্থ হয়ে ফিরেছে। আর গত সোমবার নাইজেরিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) মোট ২৪৫ টি নতুন করোনা সংক্রমণের মামলা নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে ৭৩ টি দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী লোগোসে। এটি দেশটিতে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড।
দেশটির দুর্বল অর্থনীতি বাঁচাতে বাধ্য হয়েই লকডাউন তাই তুলে নিতে হয়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ ও সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা দরিদ্র দেশটি এতদিন পর্যন্ত সফলভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এখনো বেশ কম। তবে লকডাউন শিথিলের পরেই বেড়ে যায় সংক্রমণের হার।
সোমবার, উপকূলীয় মেগাসিটি লোগোসের রাস্তাগুলো গাড়ি, বাস, মোটরসাইকেল এবং ট্যাক্সিতে ঠাসা ছিল। লকডাউনের সময় এসব রাস্তা একেবারের খালি দেখা গেছে। আর ওই দিনই সবচেয়ে বেশী করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়।
করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে চার সপ্তাহের বেশি লকডাউন চলার পর সরকার আবুজা, ওগুন ও লাগোস রাজ্যে নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার ঘোষণা দেয়। এর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই দেশটিতে সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে।
লকডাউন শিথিল করায় ঘনবসতিপূর্ণ এই অঞ্চলগুলোর মানুষ যখন দেশের অন্যান্য অংশের সাথে মিলিত হবে তখন ভাইরাসটি আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে বলে ধারণা করছে দেশটির বিশেষজ্ঞরা। সুত্র : আলজাজিরা।
জেএম/রাতদিন