লালমনিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে সাপটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে বিএনপির কমিশনার প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছবি তোলায় এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
আজ রোববার, ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রে পুলিশ থাকলেও সরকারদলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই কেন্দ্রটি শুধুমাত্র নারী ভোটারদের জন্য নির্ধারিত। তা সত্ত্বেও সকাল থেকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা সেখানে দলে দলে উপস্থিত হয়ে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে। এর এক পযার্ য়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ছবি তুলতে যাওয়ায় দ্য ইনক্যাপের সাংবাদিক সুফি মোহাম্মদকে মারধর করা হয়।
সাংবাদিক সুফি মোহাম্মদ জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে দলটির কিছু নেতা কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান। এসময় ওই ওয়ার্ডে বিএনপির কমিশনার প্রার্থী আব্দুস সালামকে অভিযুক্ত করে গালিগালাজ করা হয়। আব্দুস সালাম এর প্রতিবাদ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
খবর পেয়ে দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এতে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধ্যাক্ষ হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ৬জন আহত হয়েছেন। আহতরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কমিশনার মঞ্জুরুল আহসান বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। দুপুর পর্যন্ত কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কেউ লিখিতভাবে কোনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।